প্রভাবশালী হওয়ায় তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না কেউ।
Published : 22 Aug 2023, 10:07 AM
কুমিল্লার লালমাইয়ে সরকারি জায়গা দখল করে পাকা স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে স্থানীয় এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে।
কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক লাগোয়া লালমাই উপজেলার দত্তপুর এলাকায় সওজের জায়গা দখল করে মো. আবুল কাশেম পাকা স্থাপনা নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
কাশেম বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। লালমাই উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
কাশেমের দাবি, জমি অধিগ্রহণ না করেই চার লেইনের কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে, যে কারণে সড়কের ভেতরেও তার জায়গা রয়েছে।
অন্যদিকে কুমিল্লায় সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বলছেন, আবুল কাশেমের দাবি ‘সত্য নয়’।
উপজেলার দত্তপুরে মহাসড়কের পূর্বপাশে গুঙ্গিয়াজুরি খালের সেতু সংলগ্ন এলাকায় ‘প্রিথিলা রাইস মিল’ নামে একটি চালকল রয়েছে আবুল কাশেমের। ওই চালকল লাগোয়া স্থানে সম্প্রতি একটি পাকা স্থাপনা নির্মাণ শুরু করেন তিনি।
এরই মধ্যে কাজও প্রায় শেষ পর্যায়ে। স্থাপনায় চালকলের জন্য বিদ্যুতের বড় ট্রান্সফরমার রাখার কথা রয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, দীর্ঘদিন ধরে তার চালকলের বর্জ্য ও গরম পানির কারণে গুঙ্গিয়াজুরি খালের পানি কালো রঙ ধারণ করেছে।
তবে তিনি প্রভাবশালী হওয়ায় এসব বিষয়ে নাম প্রকাশ করে কথা বলতে চাননি এলাকার কেউ।
অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বলেন, “সড়কের পূর্ব পাশের জমি অধিগ্রহণ না করেই চার লেইনের কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়ক নির্মাণ করা হয়েছে। সেজন্য আমার মালিকানাধীন জায়গা মহাসড়কের ভেতরেও রয়েছে।
“আমি আমার জায়গাতেই স্থাপনা নির্মাণ করছি। সেখানে আমার ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান প্রিথিলা রাইস মিলের ট্রান্সফরমার রাখা হবে। আমি কোনো জায়গা দখল করিনি।
এ বিষয়ে ‘অপপ্রচার’ চালানো হচ্ছে বলে পাল্টা অভিযোগ করেন আবুল কাশেম।
অন্যদিকে কুমিল্লায় সওজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আবদুল মমিন বলেন, “মৌখিকভাবে অভিযোগ পেয়ে আমি সম্প্রতি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সেখানে স্থাপনা নির্মাণ না করার জন্য ওই রাইস মিলের মালিককে বলা হয়েছে। কিন্তু তিনি দাবি করেছেন- ওই জায়গাটা তার মালিকানাধীন। এজন্য আমরা শিগগিরই সার্ভেয়ার দিয়ে স্থানটি পরিমাপ করে চিহ্নিত করে দেব।”
পরিমাপের পর স্থাপনাটি মহাসড়কের জায়গায় হলে সেটি উচ্ছেদের জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান সওজের প্রকৌশলী।
এদিকে সড়কের পাশে চেয়ারম্যানের ট্রান্সফরমার স্থাপনের বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর লালমাই উপজেলার বাগমারা জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) গাজী হাফিজুল ইসলাম বলেন, “মহাসড়কের পাশে ট্রান্সফরমার লাগাতে হলে অবশ্যই বিদ্যুৎ অফিসের নিরাপত্তা বিভাগের অনুমতি নিতে হবে। না হয় আমরা ট্রান্সফরমার দেব না। তাছাড়া মহাসড়কের পাশেই যেহেতু স্থাপনের কথা বলা হচ্ছে- এতে নিরাপত্তাজনিত কারণে অনুমতি না মেলারই কথা।”