হাসপাতালের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, দগ্ধদের চার জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷
Published : 04 Nov 2023, 12:04 PM
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ উপজেলায় বাসায় লিকেজ থেকে জমা গ্যাস বিস্ফোরণে এক পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছেন৷ তারা রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন৷
শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার আখাউবো বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান ভুলতা পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান।
দগ্ধরা হলেন- হাসন বানু (৫৫), তার স্বামী আলী আহমেদ (৬৫), মেয়ে সাহেরা বেগম (২৪) , ছেলে ওমর ফারুক (১৮) ও ভাই সোনাউদ্দিন (৪৫)।
ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পরিদর্শক মোস্তাফিজুর বলেন, তিনতলা ভবনের নিচতলায় ভাড়া থাকতেন পরিবারটি৷ বিস্ফোরণে ঘরে থাকা এই পরিবারের পাঁচজনই দগ্ধ হয়েছেন৷
“এ ভবনটিতে তিতাস গ্যাসের চাপ খুব কম থাকায় চাপ বাড়াতে রাইজার-জাতীয় একটি যন্ত্র বসানো হয়েছে৷ গ্যাসের লাইনের কোথাও লিকেজ থেকেই ঘরে গ্যাস জমেছিল এবং তা থেকে বিস্ফোরণ হয়েছে বলেই প্রাথমিক তদন্তে মনে হচ্ছে”, বলেন এ পুলিশ কর্মকর্তা৷
বিস্ফোরণের পর দগ্ধদের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ পরে রাত একটার দিকে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্ল্যাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়৷
এ হাসপাতালের আবাসিক সার্জন তরিকুল ইসলাম জানান, হাসন বানুর শরীরের ৪৬ শতাংশ, সোনা উদ্দিনের ৯৪ শতাংশ, ওমর ফারুকের ১৫ শতাংশ, সাহেরা বেগমের ৩০ শতাংশ এবং আলী আহমেদের ৫৮ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে৷
এ চিকিৎসক বলেন, “ওমর ফারুক ছাড়া বাকি সকলের অবস্থা আশঙ্কাজনক৷”
দগ্ধ হাসন বানুর ভাতিজা নূরে আলম জানান, গৃহিণী হাসন বানু পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ভবনটির নিচতলায় ভাড়া থাকেন৷ তার স্বামী সোনা উদ্দিন ও ভাই আলী আহমেদ উপজেলার গাউসিয়া বাজারে একটি দোকানে চাকরি করেন৷
তার ছেলে ওমর ফারুক স্থানীয় একটি পোশাক কারখানার শ্রমিক এবং মেয়ে সাহারা শারীরিক প্রতিবন্ধী৷ হাসন বানুর ২২ বছর বয়সী আরেক ছেলে ফরমুজ কাজের কারণে ঘরের বাইরে থাকায় আগুনের হাত থেকে সে বেঁচে যায়৷