জয়পুরহাটের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যায় যুবকের মৃত্যুদণ্ড

যৌতুকের দাবিতে মারপিটে লাইলী মারা গেলে স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করার চেষ্টা করে জুয়েল।

জয়পুরহাট প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 28 Feb 2023, 10:35 AM
Updated : 28 Feb 2023, 10:35 AM

জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে যৌতুকের জন্য অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে হত্যার দায়ে এক যুবকের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছে আদালত। 

মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মো. আব্বাস উদ্দীন এ রায় প্রদান করেন। 

 রসুলপুর দাহার পুকুর গ্রামের সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা লাইলী বেগমকে হত্যার দায়ে তার স্বামী জুয়েলের বিরুদ্ধে আদালত এই রায় দেন বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল।     

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে তিনি জানান, ২০০৫ সালে একই গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জুয়েলের সঙ্গে লাইলীর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য লাইলীকে শারীরীক ও মানসিক নির্যাতন করতেন জুয়েল। 

এরই জেরে ২০০৭ সালের ২৩ জুলাই রাতে জুয়েল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে এলোপাতাড়ি লাথি, কিল-ঘুঁষি ও মারপিট করলে ঘটনাস্থলেই নিহত হন লাইলী। 

ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে তার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করতে থাকে জুয়েল। এতে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী পুলিশকে খবর দেয়। বিষয়টি বুঝতে পেরে জুয়েল কৌশলে পালিয়ে যায়। 

এ ঘটনায় পর দিন নিহতের বড় বোন রাবেয়া খাতুন ক্ষেতলাল থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। 

এর কিছু দিনের মধ্যে পুলিশ জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয় এবং তিন মাসের মধ্যেই আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করে। 

দীর্ঘ শুনানিতে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মঙ্গলবার দুপুরে আদালত আসামি জুয়েলকে মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা জরিমানার রায় দেন।   

একইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সাথে সংশ্লিষ্টতা না পাওয়ায় আদালত মামলার অপর দুই আসামি জুয়েলের মা লিলি বেগম ও বাবা আবদুল জলিলকে বেকসুর খালাস প্রদানের আদেশ দেন বলে জানান আইনজীবি নৃপেন্দ্রনাথ।

তবে এই রায়ের বিপক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে বলে জানান আসামি পক্ষের আইনজীবী উজ্জল হোসেন।