পরিবহন নেতারা বলছেন, বগুড়া থেকে ৩৪টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
Published : 01 Dec 2022, 01:50 PM
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ শুরুর দুদিন আগে সড়কে অবৈধ যানবাহন চলাচল বন্ধসহ ১০ দফা দাবিতে রাজশাহী বিভাগের জেলাগুলোয় বাস ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ফলে বগুড়া থেকেও বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।
গত শনিবার নাটোরে এক সভা থেকে দাবি আদায়ে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আল্টিমেটাম দিয়ে ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছিল রাজশাহী বিভাগীয় পরিবহন মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
দাবি আদায় না হওয়ায় বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকেরা কর্মবিরতি পালন শুরু করেন। ফলে ভোর থেকেই বগুড়ার অভ্যন্তরীণ ও দূরপাল্লার রুটে কোনো যাত্রীবাহী যানবাহন চলতে দেখা যায়নি।
পরিবহন নেতারা বলছেন, বগুড়া থেকে ৩৪টি রুটের বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে সড়কে পণ্যবাহী বাহনের ব্যস্ততা ছিল প্রতিদিনের মতোই স্বাভাবিক। কেউ কেউ ট্রাকে উঠে গন্তব্যে চলে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার সকালে বগুড়ার চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল, হাড্ডিপট্টি বাস টার্মিনাল ও ঠনঠনিয়া বাসস্ট্যান্ডে খোঁজ নিয়ে দেখা যায়, সেখান থেকে কোনো বাস চলাচল করছে না। চারমাথা কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে সব বাস সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে আছে।
বাস স্ট্যান্ডগুলোর পাশে, সড়কে ছিল পর্যাপ্ত যাত্রী। ব্যাগ হাতে সড়কে দাড়িয়ে নারী, শিশু, বৃদ্ধসহ দূরপাল্লা যাত্রীদের পরিবহনের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা যায় ।
চারমাথা বাস টার্মিনালে কথা হয় গাইবান্ধা জেলার সাঘাটার বাসিন্দা তছের উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, “আমরা ধান কাটতে বগুড়ায় এসেছি। নন্দীগ্রামে যাব কিন্তু বাস পাওয়া যাচ্ছে না। এখন সিএনজি অটোরিকশা খুজছি। তবে সিএনজিতে চারগুণ টাকা বেশি লাগবে।”
আরিফ হাসান নামের আরেক যাত্রী বলেন, “প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেও কোনো যানবাহন পাচ্ছি না। কয়েক দিন পর পর পরিবহন শ্রমিক ও মালিকেরা ধর্মঘটের ডাক দেন। এতে অন্য কারও কিছু না হলেও যাত্রীদের হয়রানি এবং ভোগান্তির শিকার হতে হয়।”
পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের কাছে যাত্রীরা জিম্মি হয়ে পড়েছে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।
বগুড়া-ঢাকা রুটের বাসে চালকের সহকারীর কাজ করেন সেলিম মিয়া। তিনি জানান, “বাস মালিকেরা বলেছে বাস বন্ধ। রাজশাহীতে বিএনপির সমাবেশের জন্য বাস বন্ধ নাকি থাকবে বলে শুনেছি।”
এ বিষয়ে বগুড়া জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ও বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. আব্দুল হামিদ মিটুলের সাথে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
তবে, রাজশাহী বিভাগীয় মালিক শ্রমিক যৌথ ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বলেন, “১০ দফা দাবিতে পরিবহন শ্রমিকেরা স্বেচ্ছায় কর্মবিরতি পালন করছেন। এতে বগুড়ার অভ্যন্তরীণসহ ৩৪টি রুটের প্রায় ১২শ বাস চলাচল বন্ধ আছে। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই ধর্মঘট চলবে।”