বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫

গ্রেপ্তারদের মধ্যে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগ নেতাকর্মীরা রয়েছেন।

বগুড়া প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Sept 2022, 03:15 PM
Updated : 30 Sept 2022, 03:15 PM

বগুড়ায় আওয়ামী লীগ নেতা শেখ মর্তুজা কাওসার অভির হত্যা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। 

শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার জানান, শুক্রবার দিনভর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গ্রেপ্তাররা হলেন শেরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুর রহমান শুভ, পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পী, যুবলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল, ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক এনামুল মুসলেমিন সোহাগ এবং শ্রমিক লীগ কর্মী জাহিদ হোসেন।

বুধবার বিকালে উপজেলা সদরে শেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ মর্তুজা কাওসার অভিকে (৩৮) কুপিয়ে হত্যা করে একদল অস্ত্রধারী। অভি শেরপুর পৌর এলাকার খন্দকার পাড়ার প্রয়াত হোসাইন কাওসার ফুয়াদের ছেলে।

ওই ঘটনায় শুক্রবার ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের আট নেতাকর্মীর নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৮/৯ জনকে আসামি করে শেরপুর থানায় মামলা করেন নিহতের স্ত্রী খাদিজা আক্তার লিমা।

মামলার আসমিরা হলেন পৌর ছাত্রলীগ কমিটির সদস্য খন্দকার পাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম রাঞ্জুর ছেলে আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল (৩২), যুবলীগ কর্মী পূর্বদত্ত পাড়ার গোলাম মোস্তফা ড্রাইভারের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩০), নয়াপাড়ার জাহিদ হোসেন (২৬), উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি নয়াপাড়ার জিল্লুর রহমানের ছেলে আরিফুর রহমান শুভ (৩৫), মির্জাপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শহরের নয়াপাড়ার (কোর্টপাড়া) নুরুল ইসলামের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (৩২), শেরপুর পৌর শাখা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. রকি (২৭), শেরপুর পৌর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক উপজেলার শেরুয়া গ্রামের পাকছার আলীর ছেলে রিয়াজুল ইসলাম বাপ্পি (৩৭) এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক শহরের উলিপুরপাড়ার আলতাব হোসেনের ছেলে এনামুল মুসলিমিন সোহাগ (৩৫)।

মামলার নথি থেকে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা অভির সঙ্গে ঠিকাদারি ও হাটের ইজারা নিয়ে মামলার আসামিদের বিরোধ ছিল। সেই বিরোধের রেশ ধরে গত ২৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মোজাহিদ মোটর গ্যারেজের দক্ষিণ পাশের ফাঁকা বাগানে নিয়ে যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ হিমেল। এরপর আসামিরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকেন।

অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রাণ বাঁচাতে বাগানের ভেতর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে ব্যর্থ হন অভি। পরে রাম দা, চাপাতি ও চায়নিজ কুড়াল দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যান আসামিরা।

সেখান থেকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক অভিকে মৃত ঘোষণা করেন।

মামলার বাদী লিমা সাংবাদিকদের বলেন, “আসামিরা প্রভাবশালী; তারা মামলা না করতে ভয়ভীতি দেখানোর পর মামলা করেছি। এখন আমিও নিরাপত্তাহীন। 

শেরপুর থানার ওসি আতাউর রহমান খোন্দকার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় মামলা নেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে মামলার এজাহারনামীয় পাঁচ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। অন্য আসামিদের ধরতে পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে।