যশোরের শার্শায় ‘বিস্কুট খাওয়ার পর’ অসুস্থ হয়ে একটি মাদ্রাসার এক শিশু শিক্ষার্থী মারা গেছে। অসুস্থ আরও ছয় শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকালে শার্শা উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
তারা সবাই নারায়ণপুর আশরাফুল মাদারীস হাফিজিয়া কওমি মাদ্রাসার ছাত্র বলে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান।
মৃত মাহিন উদ্দিন (১০) যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার নন্দীর ডুমুরিয়া গ্রামের সুরত আলির ছেলে।
ওই মাদ্রাসার শিক্ষক মনিরুজ্জামান বলেন, শার্শার ত্রিমোহিনী গ্রামের রাসেল তার শ্যালক মামুনকে বাজার থেকে বিস্কুট কিনে খেতে দেন।
“মামুনসহ তার অন্য সাত সহপাঠী বিস্কুট খাওয়ার পর হঠাৎ করে পেটে ব্যথা শুরু হয়। এরপর তাদের শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক মাহিনকে মৃত ঘোষণা করেন।”
বাইজিদ ও মামুনের অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিকালে ওই কওমি মাদ্রাসার সাত জন ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসলে মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করা হয়।
তিনি জানান, দুই ছাত্রের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাদের যশোর সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে; তারা ভালো আছে।
মামুনের ভগ্নিপতি রাসেল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকালে উপজেলার নাভারন বাজারের ফুটপথ থেকে ৫শ গ্রাম ওজনের দুই প্যাকেট বিস্কুট কিনেছিলেন।
“ওই বিস্কুট মাদ্রাসার আবাসিক ছাত্র আমার শ্যালক মামুনকে দিয়ে আসি। পরে শুনি ওই বিস্কুট খেয়ে তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছে।”
শার্শা থানার ওসি মামুন খান বলেন, বিষয়টি শোনার পরপরই সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত শিশুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে।