কোরবানি ঈদের পর ব্যবসায়ীরা যদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিয়মের মধ্যে না আসেন তাহলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হুঁশিয়ারি দেন সালমান এফ রহমান।
Published : 06 Mar 2024, 10:56 PM
চামড়া রপ্তানির স্বার্থে কোরবানির ঈদ পর্যন্ত ট্যানারি ব্যবসায়ীদের স্বল্পকালীন পরিবেশ সনদ দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।
তিনি বলেছেন, “কোরবানির পর ব্যবসায়ীরা যদি পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের নিয়মের মধ্যে না আসেন তাহলে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হবে। এ ছাড়া কোনো ট্যানারি নিজ উদ্যোগে বর্জ্য শোধনাগার করতে চাইলে বাধা দেওয়া হবে না।”
বুধবার বিকালে সাভারের হেমায়েতপুরে চামড়া শিল্প নগরীতে কর্মকর্তা ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
২০১৭ সালে রাজধানীর হাজারীবাগ থেকে ট্যানারি শিল্প সরিয়ে সাভারের চামড়া শিল্প নগরীতে নেওয়া হয়। কিন্তু পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্ধারিত কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগার বা সেন্ট্রাল ইফ্লুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) কার্যকর না থাকায় সাভারের চামড়া শিল্প নগরী সংশ্লিষ্ট কালীগঙ্গা ও ইছামতি নদীতে দূষণের মাত্রা বৃদ্ধি পেয়েছে।
এ নিয়ে বুধবার বৈঠকে বসেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী।
সভায় সালমান এফ রহমান বলেন, কোরবানির বাড়তি চাপ সামলাতে পরিবেশের ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের কিছুটা ছাড় দেওয়া হবে। তবে সেটা সাময়িক সময়ের জন্য। পরিবেশ, কৃষি ও মানুষের স্বাস্থ্য ঠিক রেখে এই ছাড় দেওয়া হবে।
প্রধানমন্ত্রী চামড়া খাতকে বিশেষ খাত হিসেবে দেখার পাশাপাশি সবসময় এ খাতের উজ্জ্বল সম্ভাবনার কথা বলেন বলে জানান তিনি।
সভায় পরিবেশ ও বনমন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেন, “আমরা ট্যানারি মালিক, বিসিক ও শিল্প মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে তাদের সমস্যা চিহ্নিত করেছি। এসব সমস্যার কারণে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, সে বিষয়ে সবাই একমত।
“পরিবেশের স্বার্থে আপোস না করে একটি মানমাত্রা নির্ধারণ করে আমরা ট্যানারি মালিকদের কিছুটা ছাড় দিতে পারব। তবে মৌলিক কোনো জায়গায় তারা এই ছাড় পাবেন না।”
জনস্বাস্থ্যকে ঝুঁকির দিকে ঠেলে দেয় এমন কোনো নীতির সঙ্গে আপোস করা হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন পরিবেশমন্ত্রী।
শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ বলেন, “চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারিনি। আমরা সমস্যাগুলো চিহ্নিত করছি। একটি নতুন বাড়ি তৈরি করা যতটুকু সহজ সেখানে একটি পুরাতন বাড়ি ভেঙে নতুন করে করা অনেক কঠিন।
“অকার্যকর সিইটিপিকে কীভাবে কার্যকর করা যায় এজন্য স্বল্পমেয়াদি, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করে সামনের দিকে অগ্রসর হব।”
সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু মন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন ট্যানারির মালিক ও কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।