গাজীপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্রমিক হতাহতের খবরে ৪ বাসে অগ্নিসংযোগ

আগুন নেভাতে গিয়েও শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তারা মাঝে-মধ্যেই ইটপাটকেল ছুড়েছে বলে জানান ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা ।

গাজীপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 10 Jan 2023, 03:08 PM
Updated : 10 Jan 2023, 03:08 PM

গাজীপুর মহানগরে শ্রমিক হতাহতের খবরে চারটি বাসে আগুন দিয়েছেন উত্তেজিত শ্রমিকরা। এ সময় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে কয়েকটি বাসে ভাঙচুরও চালান তারা।

মঙ্গলবার সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে মহাসড়কের ছয়দানা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান গাজীপুর মহানগর পুলিশের গাছা অঞ্চলের সহকারী কমিশনার মো. মাকসুদুর রহমান।

তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “গাড়ির ধাক্কায় একজনের মৃত্যুর খবর শুনেছি, তবে খবরের সত্যতা নিশ্চিত করতে পারিনি। এখন খুবই ঝামেলার মধ্যে আছি। পরে বিস্তারিত জানা যাবে।”

এ ঘটনার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে বাসের আগুন নেভানো হলেও রাত পৌনে ৯টা পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক তৈরি পোশাক শ্রমিক জানান, অনাবিল পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস রাস্তা পারাপারের সময় গার্মেন্টস শ্রমিকদের ধাক্কা দিলে কয়েকজন হতাহতের খবর ছড়িয়ে পড়ে।

“এ সময় উত্তেজিত শ্রমিক মহাসড়ক অবরোধ করে অনাবিল পরিবহনের বাসে আগুন দেয় এবং কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর করে।”

গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ট্রাফিক) মো. আলমগীর হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, “বাসের ধাক্কায় এক শ্রমিক আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে, তাকে এলাকাবাসী স্থানীয় তায়রুন্নেসা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে তার নাম-পরিচয় জানা যায়নি।”

“বাসের ধাক্কায় ওই শ্রমিক নিহতের গুজবে উত্তেজিত হয়ে উঠে শ্রমিকরা, এক পর্যায়ে শ্রমিকরা অনাবিল পরিবহনের একাধিক বাসে আগুন দেয় এবং কয়েকটি যানবাহনে ভাঙচুর করে মহাসড়কে অবস্থান নেয়।”

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের গাজীপুর স্টেশনের সহকারী উপ-পরিচালক আব্দুল্লাহ আল আরেফিন জানান, বাসে উত্তেজিত জনতার আগুন দেওয়ার খবরে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিটের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন।

ফায়ার সার্ভিসের জয়দেবপুর স্টেশনের সিনিয়র স্টেশন অফিসার মো. তাশাররফ হোসেন জানান, উত্তেজিত শ্রমিকরা চারটি বাসে অগ্নিসংযোগ করেছে। এগুলো হচ্ছে- অনাবিল পরিবহন, আজমেরি গ্লোরি পরিবহন, বলাকা সার্ভিস ও উজান-ভাটি পরিবহন।

“আগুন নেভাতে গিয়ে শ্রমিকদের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে। তারা মাঝে-মধ্যেই ইট-পাটকেল ছুড়ছে।

পরে পুলিশি নিরাপত্তায় কাজ করে রাত সাড়ে ৮টার দিকে আগুন নেভানো সম্ভব হয়।