বগুড়ায় ১০ দিনব্যাপী অমর একুশে বইমেলা শেষ হয়েছে।
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আয়োজনে এবং জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ২১ ফেব্রুয়ারি এই মেলা শুরু হয়। শুক্রবার রাতে তা শেষ হয়েছে। মেলায় মোট ৪০টি স্টল অংশ নেয়।
আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আর কবি-সাহিত্যিক-পাঠকদের পদচারণায় জমজমাট ছিল এ আয়োজন। এবার মেলায় প্রচুর বই বিক্রি হয়েছে বলে জানান আয়োজকরা।
মেলায় বগুড়া লেখক চক্র স্থানীয় লেখকদের উৎসাহিত করার জন্য স্টলে শুধু তাদের বই রেখেছিল। এবার মেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় লেখকদের ১২টি বই প্রকাশ করা হয়েছে।
বই মেলা উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারি সকালে পশ্চিমবঙ্গের বালুরঘাট প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক পবিত্র মহন্ত, সাংবাদিক বীরেন মাহাতো, সমাজসেবী দীপক কুমার ঘোষ, মুক্তাক্ষর সাহিত্য স্রোতের সভাপতি অশোক দাস, সাধারণ সম্পাদক দেবাশীষ অধিকারী শহীদ মিনারে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ভাষা শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “বগুড়ার একুশের আয়োজন এতটাই ভালো যে, পশ্চিমবঙ্গ থেকেও লেখক-সাহিত্যিকরা আসেন।”
বগুড়া সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি তৌফিক হাসান ময়না বলেন, “প্রতি বছরই আমরা ভাষা শহীদদের স্মরণ করি। সেখানে পশ্চিমবঙ্গের লেখকরা আসেন। এবারও এসেছেন। তারা বলেছেন, ভাষা দিবসকে কেন্দ্র করে এমন আয়োজন হয় সেটা না দেখলে বিশ্বাস হত না।”
বই মেলায় মা লাবনী বেগমের সঙ্গে আসা কলেজ ছাত্রী তাসমুভা ফাওজিয়া সুহা বলেন, “হুমায়ূন আহমেদসহ পাঁচজন স্থানীয় লেখকের বই কিনেছি লেখক চক্র স্টল থেকে। বইগুলো অনেক ভাল।”
মেলায় প্রকাশিত একটি বইয়ের লেখক এইচ আলীম বলেন, “পাঠকরা স্থানীয় লেখকদের বই কিনছে এটাই ভাল বিষয়। আমাদের জন্য প্রাপ্তি।”