নৌকার পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় এক ইউপি সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে হরিরামপুর থানায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর মামলা হয়।
Published : 24 Jan 2024, 04:42 PM
মানিকগঞ্জ-২ আসনে পরাজিত নৌকার প্রার্থী কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগমের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ মামলা করেছেন।
নৌকার পক্ষে কাজ করতে রাজি না হওয়ায় এক ইউপি সদস্যকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এই দুই কর্মীর বিরুদ্ধে হরিরামপুর থানায় এর আগে ২৭ ডিসেম্বর মামলা হয়। এবার নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে একই ঘটনায় আবার মামলা হল।
হরিরামপুর থানার ওসি শাহ নুর এ আলম জানান, নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে হরিরামপুর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ মঙ্গলবার রাতে থানায় এ মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন- হরিরামপুর উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ফরিদ মোল্লা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রিফাত চৌধুরী।
তারা দুজনেই দলীয় প্রার্থী মমতাজ বেগমের কর্মী হিসেবে নির্বাচনের প্রচারে কাজ করেছেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
৭ জানুয়ারির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী মমতাজ বেগমের প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। ট্রাক প্রতীকের টুলুর কাছে ছয় হাজারেরও বেশি ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন তিনবারের সংসদ সদস্য মমতাজ।
ইসির চিঠিতে বলা হয়, মানিকগঞ্জ-২ নির্বাচনি এলাকার আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর সমর্থক ফরিদ মোল্লা ও রিফাত চৌধুরী নৌকা প্রতীকের পক্ষে নির্বাচনি প্রচারে অংশ নিতে রাজি না হওয়ায় হরিরামপুর উপজেলার গালা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মো. শাখাওয়াত হোসেনকে গত ২৬ ডিসেম্বর শারীরিকভাবে আঘাত করেন এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।
তারা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৭ বিঘান লঙ্ঘন করেছেন মর্মে সংশ্লিষ্ট নির্বাচনি অনুসন্ধান কমিটি নির্বাচন কমিশনে প্রতিবেদন দাখিল করে। এ অবস্থায় তাদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এর অনুচ্ছেদ ৭৩ এর অধীনে সংশ্লিষ্ট থানায় এজাহার দায়ের করার জন্য নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনুরোধ করা হল।
মামলার বাদী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা সৈয়দ গোলাম রাশেদ বলেন, “নির্বাচন কমিশনের নির্দেশে দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছি।”
ওসি জানান, ওই ঘটনার পরদিনই ২৭ ডিসেম্বর গালা ইউপির সদস্য শাখাওয়াত হোসেন ফরিদ ও রিফাতসহ অজ্ঞাত পরিচয় ২০-২৫ জনের নামে হরিরামপুর থানায় প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে মামলা করেছিলেন।