অভিযানে বিভিন্ন প্রজাতির ১৪৯টি গাছের টুকরো জব্দ করেছে বন বিভাগ।
Published : 23 Mar 2024, 07:21 PM
বান্দরবানের লামা উপজেলায় হাতির সাহায্যে বন থেকে চোরাই গাছ বের করার সময় একজনকে আটক করা হয়েছে। এ সময় বেশ কিছু গাছের গুড়িসহ জব্দ করা হয়েছে হাতিটি।
শনিবার সকালে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উপজেলার সরই ইউনিয়নের লেমুপালং মৌজার দুর্গম এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয় বলে লামা বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আরিফুল হক বেলাল জানান।
তাৎক্ষণিকভাবে আটক মাহুতের নাম-পরিচয় জানা যায়নি। তবে হাতিটির মালিকের নাম আব্দুল মান্নান।
বন কর্মকর্তা আরিফুল হক জানান, হাতি এবং মাহুতকে লামা সদরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাদের আদালতে তোলা হবে। এ ঘটনায় বন আদালতে নিয়মিত মামলা করা হবে। পরে হাতিটি চকরিয়ার ডুলহাজারা সাফারি পার্কে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
আরিফুল হক বলেন, কয়েকদিন আগে গাছ কাটার খবর পেয়ে বনবিভাগের স্থানীয় অফিসের মাধ্যমে সেখানে অভিযান চালানো হয়। সেদিন কিছু গাছ জব্দ করা হয়েছিল। তবে হাতি দিয়ে গাছ টানার বিষয়টি সেদিন নিশ্চিত হয়েছিল বন বিভাগ।
এ ঘটনার পর বন নিধনে জড়িতদের ধরতে বিশেষ অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত হয় বলে জানান এই কর্মকর্তা।
লেমুপালং মৌজার বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার সকাল থেকে গাছ টানার হাতিকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন স্থানীয়রা। এরপর লেমুপালং খালে শীলঝিরির আগায় একটা টংঘরে হাতি এবং মাহুতকে দেখতে পাওয়া যায়। পরে তাদেরকে ঘিরে রাখা হয়। বনবিভাগের অভিযানিক দল পৌঁছলে হাতি এবং তার মাহুতকে আটক করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়া বিভিন্ন প্রজাতির ১৪৯টি গাছের টুকরো জব্দ করেছে বন বিভাগের অভিযানিক দল।
সম্প্রতি সরই ইউনিয়নের লেমুপালং মৌজায় একটি বন থেকে অবাধে গাছ কাটার অভিযোগ করেন স্থানীয়রা। চট্টগ্রামের লোহাগাড়া এলাকার এক গাছ ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করেন তারা।
আর বন থেকে গাছ টানার জন্য পোষা হাতি ব্যবহার করা হয় বলে দাবি স্থানীয়দের।
বিষয়টি নিয়ে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমসহ বেশ কয়েকটি সংবাদমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়; এতে নড়েচড়ে বসে বনবিভাগ।
এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, দুর্গম ওই এলাকায় বনবিভাগসহ শিগগির একটি যৌথ অভিযান চালানো হবে। এরই অংশ হিসেবে শনিবারের এই অভিযান।
আরও পড়ুন: