সাতক্ষীরায় এক মিনিটের ঝড়ে অর্ধশত ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত

ঝড়ের পরপর বৃষ্টি নামায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের লোকজন পাশের এলাকায় আশ্রয় নেন।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ঝড়ের আঘাতে বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলায় শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে অন্তত অর্ধশত ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মাত্র এক মিনিট স্থায়ী ঝড়ে সুন্দরবন সংলগ্ন রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চির মধ্যপাড়া, কলোনীপাড়া, গেটপাড়া ও গোলাখালীতে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় বলে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ আল মামুন জানান।

ঝড়ে অন্তত অর্ধশত বাড়িঘর বিধ্বস্ত হলেও কেউ হতাহত হয়নি বলে জানান চেয়ারম্যান মামুন।

উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ঝড়ে অসংখ্য গাছ-গাছালি উপড়ে পড়ার পাশাপাশি ১৫টির বেশি বসতবাড়ি পুরোপুরি এবং ৩০টির বেশি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে। তবে প্রবল বৃষ্টির কারণে তাৎক্ষণিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির প্রকৃত চিত্র নিরুপণ করা সম্ভব হয়নি।

শ্যামনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আকতার হোসেন বলেন, বৃষ্টি থামলে ঝড়ে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা হাতে পাওয়া যাবে। তবে টর্নেডোর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্তরা নিরাপদে রয়েছেন।

স্থানীয় মোমিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসা এ ঝড় মাত্র এক মিনিট স্থায়ী ছিল।

“এতে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইন, গাছ-গাছালি উপড়ে পড়ার পাশাপাশি অসংখ্য বাড়িঘর বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে কলোনিপড়ার বৃদ্ধা রহিমা বেগম ও খোকন এবং মধ্যপাড়ার ইউপি সদস্য আজগর আলী বুলু, রেজাউল, অবনী ও ভুপেন মন্ডলের বাড়ি পুরোপুরি বিধ্বস্ত হয়েছে।”

এ ছাড়া মধ্যপাড়ার অলিউল্লাহ, স্কুল বাড়ি এলাকার নুর ইসলাম ও জাহিদ হাসানের বসতবাড়ি সম্পূর্ণ এবং এসব এলাকার অন্তত ৩০টি বাড়ি আংশিক বিধ্বস্ত হয়েছে বলে মোমিনুর রহমান জানান।

স্থানীয় আব্দুল হালিম জানান, ঝড়ের পরপর বৃষ্টি নামায় ক্ষতিগ্রস্ত বাড়িঘরের লোকজন পাশের এলাকায় আশ্রয় নিয়েছেন।

ঝড়ে কালিন্দি নদীতে ভেসে যাওয়া দুই ব্যক্তিকে নৌ-পুলিশ ও বিএসএফ সদস্যদের সহায়তায় উদ্ধারের কথা জানান রমজাননগর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আজগার আলী।