“জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পুকুরের সম্পূর্ণ পানি সেচে দেখা হয়েছে কোনো যাত্রী নিচের কাদায় আটকে আছেন কি না।”
Published : 22 Jul 2023, 07:32 PM
ঝালকাঠিতে দুর্ঘটনার শিকার যাত্রীবাহী বাসটি যে পুকুরে পড়েছিল সেটির গভীরতা বেশি হওয়ায় হতাহতের পরিমাণ বেড়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস।
ঝালকাঠি ফায়ার সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মো. ফিরোজ কুতুবী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “পুকুরটির গভীরতা অনেক বেশি ছিল। তাই পুকুরে পড়েই বাসটি উল্টে যায়। এই কারণে মৃতের সংখ্যা বেশি হয়েছে।”
তিনি বলেন, পুকুরটির গভীরতা অন্তত ২০ ফুট। জেলা প্রশাসকের নির্দেশে পুকুরের সম্পূর্ণ পানি সেচে দেখা হয়েছে কোনো যাত্রী নিচের কাদায় আটকে আছেন কি না। পরে নতুন কোনো মৃতদেহ না পাওয়ায় সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।
দুর্ঘটনা কীভাবে ঘটল সে সম্পর্কে এখনই স্পষ্ট কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি বলেও জানান তিনি।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার ছত্রকান্দা এলাকায় খুলনা-ঝালকাঠি সড়কে যাত্রীবাহী বাসটি উল্টে পুকুরে পড়ে ১৭ জন নিহত হন। আহত হয়েছেন ১৮ জনের বেশি।
বাসের চাকা ফেটে গেলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারান এবং বাসটি উল্টে রাস্তার পাশে পুকুরে পড়ে যায়।
বাশার স্মৃতি পরিবহনের বাসটি ভাণ্ডারিয়া থেকে ঝালকাঠির উদ্দেশে ছেড়ে আসে।
ফারায় সার্ভিস কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরুর পর ঘটনাস্থল থেকে ১৩ জনের লাশ উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নেওয়ার পর আরও চারজনের মৃত্যু হয় বলে জানান জেলার সিভিল সার্জন ডা. জহিরুল ইসলাম।
ঝালকাঠিতে বাস উল্টে পুকুরে, নিহত ১৭
ঝালকাঠিতে বাস উল্টে পুকুরে: তদন্তে জেলা প্রশাসনের ৫ সদস্যের কমিটি
উদ্ধার অভিযান শেষে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনার বিষয়ে ফায়ার সার্ভিসের উপ সহকারী পরিচালক ফিরোজ বলেন, “বেঁচে যাওয়া আহত যাত্রীরা একেকজন একেক ধরনের তথ্য দিচ্ছেন। কোনোটিই স্পষ্ট বা সুনির্দিষ্ট নয়। তাই তদন্ত ছাড়া দুর্ঘটনার সঠিক কারণ বলা সম্ভব নয়।”
তিনি জানান, কোনো কোনো যাত্রী বলেছেন যে চালক মোবাইল টেলিফোনে কথা বলছিলেন। আবার কারও অভিযোগ, যাত্রীদের কাছ থেকে তোলা মোট ভাড়া সহকারীর কাছ থেকে গাড়ি চালানোর সময়ই বুঝে নিচ্ছিলেন চালক। সেসময়ই দুর্ঘটনা ঘটে। তবে এর কোনোটিই প্রমাণিত নয়।
দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে এরই মধ্যে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
আরও পড়ুন :