২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করা হয়।
Published : 27 Nov 2022, 07:02 PM
চাঁদপুরের আলোচিত রসু খাঁ এক নারীকে অপহরণের মামলায় খালাস পেয়েছেন।
রোববার দুপুরে রুমা আক্তার অপহরণ মামলায় চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী এ রায় দেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু।
রসু খাঁর বিরুদ্ধে নারীদের ধর্ষণ ও অপহরণের দায়েরসহ ১১টি মামলা হয়। এর মধ্যে তিনটিতে মৃত্যুদণ্ড, দুইটিতে খালাস ও ছয়টি মামলা বর্তমানে বিচারাধীন রয়েছে।
২০০৯ সালের ২০ জুলাই টঙ্গীর নিরাশপুর মসজিদের ফ্যান চুরির একটি মামলায় রসু খাঁকে গ্রেপ্তার করে ফরিদগঞ্জ থানা পুলিশ। এরপর একের পর এক হত্যারহস্যের জট খোলার খবর দিতে শুরু করে পুলিশ।
২০০৫ সালের ৬ জানুয়ারি চাঁদপুর সদর মডেল থানায় বিয়ের প্রলোভনে অপরহণের ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭ ধারায় রসু খাঁকে আসামি করে মামলা করেন তৈরি পোশাক কারখানার কর্মী রুমা আক্তারের বাবা মো. গিয়াস উদ্দিন।
রুমা আক্তার রাজধানীর উত্তরায় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলার পাঁচরুকী গ্রামে।
মামলার বরাত দিয়ে আইনজীবী জানান, ২০০৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মাসে রসু খাঁ বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে রুমা আক্তারকে চাঁদপুর সদরের বালিয়া ইউনিয়নে মামার বাড়িতে নিয়ে আসেন। রুমা এখানে এসে দেখেন, রসুর আগের স্ত্রী-সন্তান আছে। তখন রুমা আর রসু খাঁর মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়।
পরে ১৭ ডিসেম্বর রাতে রুমাকে ঢাকায় নিয়ে যাবে বলে রসু খাঁ ওই ইউনিয়নের চাপিলা বিলের মধ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। রুমার চিৎকার আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে রসু খাঁ পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা উদ্ধার করে রুমাকে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মেয়ে সুস্থ হওয়ার পর গিয়াস উদ্দিন অপহরণ মামলা করেন।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই মো. মাসুদুর রহমান ২০০৫ সালের ২৯ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আইনজীবী সাইয়্যেদুল ইসলাম বাবু বলেন, ১৮ বছর ধরে চলা মামলায় আটজন সাক্ষ্য দেন। আদালত আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।
মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন দেবাশীষ রায় এবং সরকারপক্ষের সহকারী আইনজীবী (এপিপি) ছিলেন খোরশেদ আলম শাওন।
আরও পড়ুন: