আহতদের মধ্যে দুইজন নারী। গ্রেপ্তার সদস্য চাঁদাবাজি মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামি।
Published : 06 Aug 2022, 01:28 AM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে ‘চাঁদাবাজির মামলা তুলে না নেওয়ায়’ এক ব্যবসায়ীসহ তার পরিবারের আট সদস্যকে কুপিয়ে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে এক ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে।
শুক্রবার বিকালে উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামে ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে বলে চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক শুভ রঞ্জন চাকমা জানান।
আহতরা হলেন নাসির উদ্দিন, স্ত্রী রহিমা বেগম, ভাই আলী মিয়া, দুই ছেলে মোতাহার হোসেন ও মোবারক হোসেন, দুই ভাতিজা আবুল কালাম ও মাইন উদ্দিন এবং ভাতিজি ফাতেমা আক্তার।
পুলিশ জানায়, হামলায় আহত নাসির উদ্দিনসহ আটজনকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন নারীও আছেন।
এ ঘটনার পর ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য বজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে জানিয়ে শুভ রঞ্জন বলেন, “বজলুর রহমানের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলায় আদালতের গ্রেপ্তারি পরোয়না রয়েছে।”
ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের ছেলে আহত মোতাহার হোসেন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, গোপালনগর গ্রামের বজলুর রহমান ওরফে বজলু মেম্বার ও তার সহযোগীদের নেতৃত্ব অন্তত ১৫ জন রামদা, ছেনি, চাপাতিসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের পরিবারের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলায় তিনিসহ তার বাবা নাসির উদ্দিন, মা রহিমা বেগম, ভাই মোবারক হোসেন, চাচা আলী মিয়া, চাচাতো ভাই আবুল কালাম, মাইন উদ্দিন, চাচাতো বোন ফাতেমা আক্তার গুরুতর আহত হন।
মোতাহার হোসেন বলেন, “পাশের নালঘর বাজারে তাদের রড, সিমেন্ট, ধান, চালসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। প্রায় ছয় মাস আগে বজলু মেম্বার ও তার লোকজন এসে ১৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন।
“পরে আমরা এ ঘটনায় মামলা করি। কিছু দিন আগে সেই মামলায় আদালত বজলু মেম্বারের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরই মধ্যে গত ১৪ জুলাই বজলু ও রশিদ আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে এসে আমার বাবা ও ভাইকে কুপিয়ে ১০ লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যান।”
মোতাহার আরও বলেন, এ ঘটনায় তারা আদালতে আরেকটি মামলা করেন। এতে বজলু তাদের পরিবারের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে কিছুদিন ধরে মামলা দুটি তুলে নিতে হুমকি দিয়ে আসছিলেন।
“মামলা তুলে না নেওয়ায় হত্যার উদ্দেশ্যে শুক্রবার আমাদের ওপর এই সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে।”
মোতাহার আরও বলেন, “হামলাকারীরা যাকে যেখানে পেয়েছে সেখানেই কুপিয়েছে। পুরো বাড়িতে যেন রক্তের স্রোত বয়ে গেছে। আমরা সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজ বজলু মেম্বারের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই।”
চৌদ্দগ্রাম থানার পরিদর্শক শুভ রঞ্জন চাকমা বলেন, “আগের মামলায় ওয়ারেন্ট থাকায় বজলু মেম্বারকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি।”
তিনি বলেন, শুক্রবার বিকালে হামলার ঘটনায় আহতরা এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ করেননি। অভিযোগ পেলে সেই মামলায়ও বজলু মেম্বারকে গ্রেপ্তার দেখানো ও অন্য জড়িতদের ধরা হবে।