Published : 07 Dec 2022, 09:08 PM
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম উপজেলায় বৈঠক থেকে জামায়াতে ইসলামীর ২০ নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার কালিকাপুর এলাকার একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা।
তিনি আরও বলেন, “অভিযানে গেলে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়। এতে ছয় পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের বুধবার দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।“
গ্রেপ্তার ১৯ জন হলেন- উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মাহফুজুর রহমান, সেক্রেটারি বেলাল হোসেন, সহ-সেক্রেটারি মোহাম্মদ এয়াছিন, কালিকাপুর ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবুল হাশেম, ঘোলপাশা ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আবদুল কাদের, জামায়াত কর্মী ইসমাইল হোসেন, মো. নোমান, আবু তাহের, আবদুর রহিম, ইব্রাহিম খলিল, মোখলেছুর রহমান মজুমদার, সাইফুল ইসলাম, জহির উদ্দিন, আবুল হাশেম, জাহিদুর রহমান, আহসান উল্যাহ, বেলাল হোসেন, ফজলুল হক, মোহাম্মদ মাসুম। একজনের নাম জানা যায়।
দুপুরে ওসি শুভ রঞ্জন চাকমা দাবি করেন, ১০ ডিসেম্বর বিএনপির সমাবেশকে সামনে রেখে নাশকতার পরিকল্পনা করতে জামায়াতের নেতারা গোপনে বৈঠকে করছিলেন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়।
এ সময় জামায়াত নেতারা পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা চালায়। হামলায় এসআই জুয়েল, এএসআই বল্লম মজুমদার, চার কনস্টেবলসহ ছয়জন আহত হন। পরে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে বাড়িটিতে অভিযান চালিয়ে ২০ জনকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় বাড়ি থেকে নাশকতার পরিকল্পনা কিছু তথ্য ও বেশ কিছু জিহাদি বই জব্দ করা হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা করেছে।
এ ব্যাপারে কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা জামায়াতে ইসলামী আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান বলেন, “এক কর্মীর বাড়িতে সামাজিক অনুষ্ঠান ছিলো। সেখানে দাওয়াতে গিয়েছিলেন নেতাকর্মীরা।”
১০ ডিসেম্বর নিয়ে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ বানোয়াট উল্লেখ করে জামায়াত নেতা আরও বলেন, সেখানে পুলিশের ওপর হামলার কোনো ঘটনাই ঘটেনি। মিথ্যা ও সাজানো অভিযোগে নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করে হয়রানি করা হচ্ছে।”