ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে বিরোধের জেরে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
রোববার শৈলকুপা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন চলছে। তবে এ নির্বাচনের সঙ্গে খুনের ঘটনার কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে জেলার সহকারী পুলিশ সুপার অমিত কুমার বর্মণ জানিয়েছেন।
শৈলকুপার পুরাতন বাখরবা গ্রামে শনিবার রাতে জানিক শেখ নামের ওই ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। পেশায় কৃষক ৪৫ বছর বয়সী জানিক ওই গ্রামের এবাদত শেখের ছেলে ছিলেন।
শৈলকুপা থানার ওসি মো. আমিনুল ইসলাম জানান, এ উপজেলার সারুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহমুদুল হাসান মামুন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জুলফিকার কায়সার টিপুর মধ্যে গত ৫ জানুয়ারির ইউপি ভোট নিয়ে বিরোধ চলছিল। ইউপি নির্বাচনের সময় সহিংসতায় সারুটিয়ায় ছয়জন নিহত হয়।
তিনি বলেন, টিপুর সমর্থক জানিক রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানিকের মৃত্যু হয়।
নিহতের স্ত্রী মনিরা খাতুন বলেন, ইউপি নির্বাচনের পর থেকে তার স্বামী বাড়ি ছাড়া। কয়েকদিন আগে তিনি এলাকায় ফিরলেও বাড়ি থাকতেন না। শনিবার খাওয়া দাওয়ার পর রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে বের হন জানিক। কিছু দূর যাওয়ার পর প্রতিপক্ষরা তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায়।
নিহতের ভাই সারুটিয়া ইউয়িনের বাখরবা গ্রামের মেম্বর বাঁধন শেখ বলেন, “খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ভাইকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখি। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ভাইকে উদ্ধার করে শৈলকুপা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
“সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জানিক মারা যায়।”
তবে এ ঘটনায় এখনও থানায় মামলা হয়নি বলে জানান বাঁধন।
এদিকে শৈলকুপা উপ-নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো উপজেলায় পুলিশ, র্যাব ও বিজিবিকে টহল দিতে দেখা গেছে। তবে কেন্দ্রগুলোতে ভোটার উপস্থিতি ‘কম’ ছিল।