টাকার বিনিময়ে নোয়াখালীতে কমিটি, অভিযোগ স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার

তবে এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন সংশ্লিষ্টরা।

নোয়াখালী প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 21 Sept 2022, 10:57 AM
Updated : 21 Sept 2022, 10:57 AM

টাকার বিনিময়ে নোয়াখালীতে কমিটি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা।

বুধবার দুপুরে জেলা শহরের ইসলামিয়া রোডের নিজস্ব অফিসে সংবাদ সম্মেলনে সদ্য ঘোষিত জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি নিয়ে অভিযোগ করেন নোয়াখালী পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতাউল হাসান দীপু।

তবে যাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হয়েছে তারা তা অস্বীকার করেছেন।

গত সোমবার বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গাজী মেছবাহুল হোসেন সাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবুর স্বাক্ষরিত দুই সদস্যবিশিষ্ট নোয়াখালী জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়। এতে সভাপতি করা হয় ফাহাদ ইউসুফ হোসেন প্রমিতকে এবং সাধারণ সম্পাদক হন রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া।

নিজেও কমিটির নেতৃত্বে আসার প্রত্যাশায় ছিলেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আতাউল হাসান দীপু বলেন, “আমার নেতা জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম আমাকে কমিটিতে স্থান দেওয়ার জন্য কেন্দ্রে সুপারিশ করেছিলেন। আমি ২০ বছর ধরে স্বেচ্ছাসেবক লীগকে শক্তিশালী করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। আমার সঙ্গে বিভিন্ন উপজেলার ৩০ জন সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। কিন্তু টাকার কাছে আমরা সবাই হেরে গেছি।”

১০ লাখ টাকা না দিতে পারায় সভাপতি পদ পাননি এমন অভিযোগ করে দীপু বলেন, যাকে সভাপতি করা হয়েছে তিনি ঢাকায় বসবাস করেন। স্বেচ্ছাসেবক লীগের কোনো অনুষ্ঠানে তিনি যুক্ত ছিলেন না। গঠনতন্ত্রে বলা আছে, কমপক্ষে এক বছর আবেদনের মাধ্যমে প্রাথমিক সদস্য পদ লাভের পর জেলার আহ্বায়ক বা সভাপতির অনুমোদনে নেতা নির্বাচিত হতে পারবেন। কমিটির দুই নেতার সংগঠনের সদস্য পদও নেই বলে জানান তিনি।

দীপু আরও দাবি করেন, “ইউসুফ হোসেন প্রমিত কমিটি দেওয়ার জন্য একটি গাড়ি দিয়েছেন। জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম বর্তমানে সেই গাড়িটি ব্যবহার করছেন। আমি এই কমিটি বাতিল চাই। গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কমিটি চাই।”

অভিযোগ অস্বীকার করে জেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক এইচ এম খাইরুল আনম চৌধুরী সেলিম বলেন, “বিষয়টি আমি স্থানীয় কয়েকজনের মাধ্যমে শুনেছি। অভিযোগ সত্য নয়। আমি কোনো কিছুর বিনিময়ে কমিটির সুপারিশ করিনি।”

স্বেচ্ছাসেবক লীগের জেলা সভাপতি ফাহাদ ইউসুফ হোসেন প্রমিত পদের জন্য কাউকে গাড়ি ও টাকা দেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, “দীপু ভাই আমাদের বড় ভাই। পদ না পাওয়ার ক্ষোভে তিনি অভিযোগগুলো করছেন। আমরা শুনে থাকব। আগামী দিনে উনাদের নিয়েই সংগঠনটিকে শক্তিশালী করব।

একই কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহমত উল্যাহ ভূঁইয়া বলেন, “২০১৮ সাল থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগের রাজনীতি করে আসছি। এই ব্যানারে আমি ৫০ এর অধিক অনুষ্ঠান করেছি। সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী আমি সিভি জমা দিয়েছি। সেই অনুযায়ী আমাকে পদ দেওয়া হয়েছে।”