নারায়ণগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষ, ২ ‘যুবলীগকর্মী’ গুলিবিদ্ধ

দুজনের শরীরের নিম্নাংশে গুলি লেগেছে; অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 12 May 2023, 04:59 PM
Updated : 12 May 2023, 04:59 PM

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে দুপক্ষের সংঘর্ষে দুইজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন, যারা স্থানীয়ভাবে যুবলীগকর্মী হিসেবে পরিচিত।

ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নতুনবাজারে এ সংঘর্ষ হয়।

গুলিবিদ্ধ হয়েছেন মাসুম বিল্লাহ (২৬) ও মো. জুবায়ের (২৪)। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

মাসুম বিল্লাহ গোলাকান্দাইল ইউনিয়নের নতুন বাজার এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে এবং মো. জুবায়ের একই এলাকার মো. মিলনের ছেলে৷

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, বৃহস্পতিবার রাতে দুজন গুলিবিদ্ধ অবস্থায় ভর্তি হন৷ তাদের উভয়ের শরীরের নিম্নাংশে গুলি লেগেছে। অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করা হয়েছে। একজন এখনও হাসপাতালে ভর্তি, অন্যজন চিকিৎসা শেষে ‘ডিসচার্জ’ নিয়েছেন৷

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান বিদ্যুৎ ও তার লোকজনের সঙ্গে মাসুম বিল্লাহদের সংঘর্ষ হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে৷

ভুলতা ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “দুইপক্ষের মধ্যে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব পুরোনো৷ মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে অন্তত দশটি মামলা আছে থানায়৷ জাহিদ হাসান বিদ্যুতের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে৷ গতরাতের সংঘর্ষে তারা উভয়পক্ষই আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্রের ব্যবহার করেছেন৷”

এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে বলে এ পুলিশ কর্মকর্তা জানান।

স্থানীয় লোকজন, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতারা জানান, গোলাকান্দাইল ও ভুলতা এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আল আমিনের সঙ্গে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জাহিদ হাসান ও সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রাজন চৌধুরীর বিরোধ দীর্ঘদিনের৷ আল আমিনের অনুসারী হিসেবে পরিচিত মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের৷

বৃহস্পতিবার রাতে গোলাকান্দাইলের নাগেরবাগ এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে চাঁদা তোলাকে কেন্দ্র দুইপক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়ায়৷ পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেয়৷

গোলাকান্দাইল ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন, “মাসুম বিল্লাহ ও জুবায়ের যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। জাহিদ হাসান বিদ্যুৎ সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি। রাজন চৌধুরী এক সময়ের ছাত্রলীগ নেতা হলেও গত এক বছর ধরে সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত নন৷”

স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “দুটি পক্ষই এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে রেখেছে৷ তারা প্রায় সময়ই সংঘর্ষে জড়ায়৷ এই সময় লোকজনের দোকানপাটও লুট করে৷ এলাকার মানুষ তাদের নিয়ে ভীত, সন্ত্রস্ত৷”

ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক আল আমিন বলেন, “ঘটনার বিস্তারিত জানি না৷ জাহিদ হাসান বিদ্যুৎ তার লোকজনেক নিয়ে দুই কর্মীকে গুলি করছে বলে জেনেছি৷ রাজনৈতিক কর্মীর পরিচয় দিলেও বিদ্যুৎ ও রাজনের মূল পেশা অস্ত্রের ব্যবসা করা, টাকার বিনিময়ে মানুষ খুন করে।”