যার বিরুদ্ধে গাছ কাটার অভিযোগ, তিনি বলছেন, আগাছা পরিষ্কারের জন্য ‘বাজে কিছু গাছ’ কাটা হয়েছে। এখানে নতুন করে আরো ১০০টি গাছ লাগানো হবে।
Published : 07 Nov 2024, 09:48 PM
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার টিলা, অডিটেরিয়াম ও উপাচার্যের বাসভবন এলাকা থেকে বন বিভাগের অনুমতি ছাড়াই ৭৯টি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে।
গত কয়েকদিন ধরে কৌশলে গাছগুলো কাটা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারী।
গাছ কাটার বিষয়ে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মো. আলিমুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ‘‘আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে মন্ত্রণালয়ে এসেছি। ক্যাম্পাসে গাছ কাটার বিষয়টি আমার জানা নেই। কারা গাছ কেটেছে, কার অনুমতি নিয়ে গাছ কাটা হল; সেটি আমি ক্যাম্পাসে গিয়ে খোঁজ নিয়ে বলতে পারব।“
সিলেট বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গাছ কাটার কোনো অনুমতি নেয়নি।”
অনুমতি ছাড়া গাছ কাটার বিষয়টি বুঝতে পারছেন না জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি অফিসের কাজে ঢাকায় এসেছি। লোক পাঠিয়ে বিষয়টি খোঁজ নিচ্ছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তা বলেন, বন বিভাগের অনুমিত ছাড়াই আকাশমনিসহ বিভিন্ন জাতের ৭৯টি গাছ কাটা হয়েছে।
টিলায় লাগানো গাছগুলো বন বিভাগের। তারা বনায়ন কর্মসূচির মাধ্যমে এসব গাছ লাগিয়ে ছিল।
গাছ কাটার কাজটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা শাখার অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা আশফাক আহমেদ ও একজন নিরাপত্তা কর্মীকে নিয়ে করা হয়েছে বলে তাদের দাবি।
এ ছাড়া তারা ক্যাম্পাস থেকে বিদ্যুতের পুরানো লোহার ২০টি খুঁটি তুলেছে। ১০টি ইতোমধ্যে বিক্রিও করে দিয়েছে।
টিলা এলাকার গাছগুলো কেটে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাকৃতিক পরিবেশ ধ্বংস করা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি একাধিক শিক্ষক ও কর্মকর্তার।
গাছ কাটার বিষয়ে আশফাক আহমেদ বলেন, “যে গাছগুলো কাটা হয়েছে, এগুলো বাজে গাছ, হতে পারে কাটা পড়েছে ৭৯টি গাছ। তবে এ গাছগুলো কোনো কাজে আসে না; কাঠের গাছ না।
এখন খালি জায়গাতে আরও ১০০টি গাছ লাগানো হবে।
গাছগুলো ঘিরে ‘চোরদের আড্ডা হত’ দাবি করে তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের জিনিসও চুরি হয়েছিল; তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জঙ্গল পরিষ্কারের অনুমতি দিয়েছে। ওই জায়গা দিয়ে গিয়ে ভিসি স্যারের বাসভবনে তিনবার ডাকাত এসেছিল। তারা আমাদের গার্ডদের মারধরও করে।”
তিনি আরও বলেন, “পুরানো বিদ্যুতের খুঁটি ও কাটা গাছগুলো রয়ে গেছে। ভিসি স্যার আসার পর সিদ্ধান্ত হবে।”