দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থীর কাছে পরাজিত হন আবুল হাসেম খান।
Published : 31 Jan 2024, 12:13 PM
কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) আসনের সদ্য সাবেক হওয়া সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আবুল হাশেম খান মারা গেছেন। তার বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর।
বুধবার ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রাজধানীর একটি হাসপাতালে তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন তাঁর মেয়ে নাজিয়া হাশেম তানজি।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে ওই আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ জাহেরের কাছে পরাজিত হন আবুল হাসেম খান।
অবশ্য ভোট গ্রহণের আগে থেকেই অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকায় তিনি নির্বাচনের প্রচারে অংশ নিতে পারেননি।
২০২১ সালের ১৪ এপ্রিল কুমিল্লা-৫ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুর পর উপনির্বাচনে হাসেম খানকে মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ। পরে একই বছরের ১৪ জুলাইয়ের উপ-নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন তিনি।
পরিবারের সদস্যরা জানান, ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে হৃদরোগের কারণে আবুল হাসেম খানের বাইপাস সার্জারি হয়। এর পর থেকে তিনি বিশ্রামে ছিলেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন পান। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর এলাকার একটি কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকে ঢাকায় হাসপাতাল ও বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর বুড়িচং উপজেলার উত্তর গ্রামে জন্মগ্রহণ করা আবুল হাসেম খান ব্যক্তিগত জীবনে তিন মেয়ে ও এক ছেলের জনক।
রাজনৈতিক জীবনে ১৯৭৬ সালে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন আবুল হাশেম খান। ১৯৮৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও তিন বছর পর হন সাধারণ সম্পাদক।
২০০৩ সালে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালে তাকে করা হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক। ২০১৯ সালে কমিটি গঠন হলে পুনরায় সভাপতির দায়িত্ব পান তিনি।
সর্বশেষ জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছিলেন এই রাজনীতিবিদ ।
কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক আবদুছ ছালাম বেগ জানান, বুধবার বিকালে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণ, দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণপাড়া সদর, বাদ জোহর বুড়িচং সদর ও বাদ আসর তার গ্রামের বাড়ির গিলাতলায় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
পরে তার মরদেহ গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে।