ঈদের দিন আশাশুনির বিছট প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁধটির প্রায় দেড়শ ফুট ভেঙে গিয়ে অনেক এলাকা প্লাবিত করে।
Published : 04 Apr 2025, 06:10 PM
সাতক্ষীরার আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের বিছট বেড়িবাঁধের ভাঙন দিয়ে পানির প্রবেশ রোধ করা হয়েছে ‘ক্লোজার’ নির্মাণ করে।
ঈদের দিন বিছট প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন বাঁধটি প্রায় দেড়শ ফুট ভেঙে চারদিন ধরে যে লোনা পানির প্লাবন হয়েছিল, তা শুক্রবার রোধ করা সম্ভব হল।
ক্লোজার সম্পন্ন হওয়ার ফলে দুর্ভোগ প্রাথমিকভাবে কমে আসবে বলে মনে করছেন স্থানীয় বাসিন্দা ও বিছট নিউ মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক আবু দাউদ মোড়ল।
তিনি বলেন, “পানি উন্নয়ন বোর্ড সাংবাদিকদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, এক সপ্তাহের মধ্যে পানির প্রবেশ রোধ করবে। তবে চার দিনের মাথায় সেই কাজ সম্পন্ন করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত উপকূলবাসী মনে করে, এই মাসের মধ্যে রিং বাঁধ সম্পন্ন হবে।”
ঈদের দিন নদীর পাড়ে বাঁধে ভাঙনে প্রবল জোয়ারের লোনা পানি ঢুকে পড়ে ২০ গ্রামে। এতে সম্পূর্ণ প্লাবিত হয়েছে দশ গ্রাম। হাজার হাজার বিঘা মাছের ঘের ডুবে যায়। ধানি জমিও লোনা পানিতে ভেসে গেছে।
বল্লভপুরের নার্সারির সব গাছ নষ্ট হয়েছে। পাঁচ শতাধিক কাঁচা ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ ধ্বসে গেছে। সহস্রাধিক ঘর ক্ষতির মুখে পড়েছে। চাল-চুলো হারিয়ে মানুষ অন্যত্র আশ্রয় নেয়।
এ অবস্থায় ভাঙন ঘিরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক ক্লোজার সম্পন্ন হওয়ায় এলাকার মানুষের মধ্যে স্বস্তি এসেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের খুলনা তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সৈয়দ শহিদুল আলম বলেন, “৭ এর ২ পোল্ডারে খোলপেটুয়া নদী বাঁধ ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে পানি উন্নয়ন বোর্ড নিজেদের ছুটি বাতিল করে নেমে পড়ে ক্লোজার নির্মাণের কাজে। সেই কাজ আজ জিও টিউবে সম্পন্ন হল স্থানীয় সাধারণ মানুষের সহায়তায়।”
এ ছাড়া স্থানীয় প্রশাসন, সেনা, নৌ ও পুলিশ বিভাগের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ক্লোজার নির্মাণে সহায়তার জন্য।
এদিকে, স্থানীয় চেচুয়া গ্রামের ফারজানা নামে এক নারী বলেন, “এলাকাজুড়ে জলাবদ্ধ সব পানি এখনও নেমে যায়নি। পানি আসা রোধ হলেও এখনকার বড় সমস্যা হচ্ছে, লোনা পানিতে মরে যাওয়া মাছ, মৃত গরু-ছাগলের দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষিত করে তুলছে।”