নীলফামারীর ডোমার উপজেলায় নিজের স্ত্রীকে গলাকেটে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘট্নার পর থেকে ওই যুবক পলাতক রয়েছেন।
বুধবার দুপুরে উপজেলার কারেঙ্গাতলী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলে ডোমার থানার পরিদর্শক মো. মাহমুদ উন নবী জানান।
নিহতের স্বামী গোলাম মোস্তফা বুলুকে (৩৫) গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান মাহমুদ উন নবী।
এলাকায় খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ১২ বছর আগে ওই গ্রামে বিয়ে করেন নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামের ঝরিয়া শাহের ছেলে গোলাম মোস্তফা বুলু।
তাদের ১৩ বছর বয়সী এক মেয়ে এবং ছয় ও চার বছর বয়সী দুটি ছেলে আছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, দাম্পত্য কলহের জেরে প্রায় দেড়মাস আগে দুই ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন বুলুর স্ত্রী (২৮)। বাবার বাড়ি থেকে ৪০০ গজ দূরে একটি ঘরে দুই ছেলেকে নিয়ে থাকতেন ওই নারী। মেয়ে সৈয়দপুরে দাদার বাড়িতে ছিল।
এরই মধ্যে কিছু দিন আগে শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রী-সন্তানদের কাছে এসে থাকছিলেন বুলু।মঙ্গলবার রাতে স্ত্রী-সন্তানদের পাশে ঘুমান তিনি।
বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে দুই শিশু বিছানায় মায়ের রক্তাক্ত মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে এবং বাবাকে দেখতে না পেয়ে বিষয়টি নানার বাড়িতে গিয়ে জানায়।
পরে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে থানায় খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
নিহতের বাবার অভিযোগ, “গোলাম মোস্তফা বুলু আমার মেয়েকে গলাকেটে হত্যা করেছে। আমি আমার মেয়ের হত্যার বিচার চাই।”
ডোমার থানার পরির্দশক বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ ধারণা করছে, মঙ্গলবার রাতের কোনো এক সময় স্ত্রীকে হত্যা করে গোলাম মোস্তফা পালিয়েছেন।
এ ঘটনায় নিহদের পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান থানার পরিদর্শক মো. মাহমুদ উন নবী।