Published : 28 Sep 2024, 06:55 PM
শরীয়তপুরের ডামুড্যা উপজেলায় এক যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
শুক্রবার দুপুরে উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় রাসেল সরদার (৩৮) নামে ওই যুবলীগ কর্মীকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করা হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গভীর রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
জেলা পুলিশ সুপার নজরুল ইসলাম বলেন, “পূর্ব শত্রুতার জেরে রাসেলকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গভীর রাতে তার মৃত্যু হয়। অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
রাসেল সরদার একই এলাকার ইসহাক সরদারের ছেলে।
স্বজনদের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার দুপুরে ভাঙ্গাব্রিজ এলাকায় একটি সেলুনে চুল কাটছিলেন রাসেল। এ সময় পেছন থেকে তার উপরে হামলায় চালায় কয়েকজন। তাকে কুপিয়ে গুরুতর অবস্থায় আহত করে রাস্তায় ফেলে রেখে যায়।
প্রথমে রাসেলকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল নিয়ে যায়। পরবর্তীতে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত ৩টার দিকে তিনি মারা যান।
নিহতের বড় ভাইয়ের স্ত্রী সীমা আক্তার বলেন, “আমার দেবর আওয়ামী লীগ করতো বলে বিএনপির সাইফুল ও তার লোকজন কুপিয়ে হত্যা করেছে। ছোট দুটি বাচ্চাকে এতিম করে দিয়ে গেল। আমরা ওদের ফাঁসি চাই।”
রাসেলের বোন ইয়াসমিন বলেন, “আমার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল। আমার ভাই তো কারো ক্ষতি করেনি। খুনিদের বিচার চাই।”
এ ব্যাপারে চেষ্টা করেও বিএনপি কর্মী সাইফুলের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।