শিশুটিকে ছেড়ে দিতে অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে তার মা জানিয়েছেন।
Published : 13 Mar 2024, 10:18 PM
কক্সবাজারে টেকনাফ উপজেলার শিশু ‘অপহরণে’ ব্যবহৃত অটোরিকশা, চালক ও তিন নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার চারদিনেও উদ্ধার হয়নি মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি পড়ুয়া শিশুটি।
বুধবার বিকালে গ্রেপ্তারের বিষয়টি জানিয়েছেন টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি।
গ্রেপ্তাররা হলেন- টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ খানের স্ত্রী উম্মে সালমা (২৪), একই ক্যাম্পের বাসিন্দা লায়লা বেগম, কোবরা বেগম, মোহাম্মদ হাশেম এবং অটোরিকশার চালক নাছির উদ্দিন (২৬)।
এদিকে, শিশুটিকে ছেড়ে দিতে অপহরণকারীরা ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে তার মা জানিয়েছেন।
অপহৃত ৬ বছর বয়সি শিশুটি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের পূর্ব পানখালী এলাকার। সে একই এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটির মা বলেন, “কারা, কী কারণে আমার সন্তানকে অপহরণ করেছে তা জানি না।”
তবে মঙ্গলবার রাতে তার সন্তানকে ছেড়ে দিতে মোবাইল ফোন কল করে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছেন। পরে বিষয়টি তিনি পুলিশকে জানান।
স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গত শনিবার দুপুরে মাদ্ররাসা থেকে ফেরার পথে অপহরণের শিকার হয় শিশুটি।
এ ঘটনায় ওইদিন সন্ধ্যায় শিশুটির মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেন। অভিযোগের প্রাথমিক তদন্তের পর গত রোববার মামলাটি নথিভুক্ত হয় বলে ওসি ওসমান গনি বলেন।
তিনি আরও বলেন, মামলার পর পুলিশ ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভির ফুটেজ সংগ্রহ করে। ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করার পাশাপাশি গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রাখে। এক পর্যায়ে পুলিশ সিসিটিভির ফুটেজ দেখে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশাটি চিহ্নিত করে। পরে গত রোববার সন্ধ্যায় কক্সবাজার শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে অটোরিকশাসহ চালক নাছির উদ্দিনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।”
পরে সিসিটিভির ফুটেজ ও গ্রেপ্তার নাছিরের দেওয়া তথ্যে গত মঙ্গলবার টেকনাফ উপজেলার মোচনী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ অভিযান চালিয়ে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে পুলিশ জানায়।
টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গনি জানান, গ্রেপ্তারদের মধ্যে উম্মে সালমা বুধবার ঘটনায় জড়িত থাকার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।