“আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন।”
Published : 14 Feb 2025, 08:09 PM
কুমিল্লায় পৃথক অভিযানে ২০ কেজি গাঁজাসহ তিন নারীকে আটক করা হয়েছে। যাদেরকে ‘মাদক পাচারকারী’ বলছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।
শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসারে এবং বিকালে কুমিল্লা রেলস্টেশনে অভিযান পরিচালনা করে তাদের আটক করা হয় বলে জানিয়েছেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কুমিল্লার উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান।
আটকরা হলেন- কুমিল্লা নগরীর মুরাদপুর এলাকার মৃত. চারু মিয়ার মেয়ে রুনু আক্তার (৩৭), গর্জনখোলা এলাকার মৃত সুমন মিয়ার মেয়ে আঞ্জুমান আক্তার সুমাইয়া (২০) এবং ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার রামচন্দ্রপুরের জারু মিয়ার স্ত্রী জামিলা খাতুন (৬০)।
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের উপ-পরিদর্শক মো. মুরাদ হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শুক্রবার সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বুড়িচং উপজেলার নিমসার বাজার এলাকায় ঢাকাগামী এশিয়া ট্রান্সপোর্ট বাসে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
“অভিযানে যাত্রীবেশে থাকা রুনু ও সুমাইয়ার সঙ্গের স্কুল ব্যাগ ও জামা কাপড়ের ব্যাগ থেকে ১৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। রুনু আক্তারের বিরুদ্ধে আগেও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে।”
উপ-পরিদর্শক তমাল মজুমদার জানান, বিকালে কুমিল্লার রেলস্টেশনে অভিযান চালিয়ে চার কেজি গাঁজাসহ বৃদ্ধা জামিলা বেগমকে আটক করা হয়। তার বিরুদ্ধে আগেও মাদক পাচারের অভিযোগ রয়েছে।
“প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে মাদক এনে তিনি কুমিল্লা শহরে সরবরাহ করে আসছেন।”
উপ-পরিচালক চৌধুরী ইমরুল হাসান বলেন, “আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দেয়ার জন্য মাদক ব্যবসায়ীরা কৌশল হিসেবে মহিলাদের মাদক বহনের কাজে ব্যবহার করছেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে যে, অল্প সময়ে অধিক উপার্জনের লোভে তারা বারবার মাদক বহনের কাজে জড়িয়ে পড়েছেন।”
আটকদের বিরুদ্ধে ডিএনসি উপপরিদর্শক মুরাদ হোসেন বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় এবং উপপরিদর্শক তমাল মজুমদার বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছেন বলেও জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এ কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন-