“আমরা তাকে ‘পাগলা বাহার’ নামে ডাকি। সবসময় তার মাথা গরম থাকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সে পাগলামী শুরু করে।”
Published : 05 Jul 2024, 08:42 PM
কুমিল্লার লাকসাম উপজেলায় টাকা না পেয়ে মাকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে। ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ ছেলেকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা।
শুক্রবার বিকাল ৩টার দিকে উপজেলার লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের উত্তর এলাইস গ্রামে এ হত্যার ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন লাকসাম থানার ওসি শাহাবুদ্দিন।
নুরজাহান বেগম (৮০) ওই গ্রামের পশ্চিম পাড়া মিয়াজি বাড়ির মৃত হাবিবুর রহমানের স্ত্রী। এই দম্পতির সাত ছেলে ও এক মেয়ের মধ্যে সবার বড় আসাদুজ্জামান বাহারের (৫০) বিরুদ্ধে মাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
লাকসাম পূর্ব ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হানিফ সরকার বলেন, “বাহার প্রায় ২০ বছর ধরে মানসিক ভারসাম্যহীন। বিষয়টি আমরা সবাই জানি। বেকার অবস্থায় নিজ বাড়িতে মায়ের সঙ্গেই থাকত সে। প্রায়ই টাকার জন্য ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করত। শুক্রবার দুপুরে টাকা চেয়ে না পাওয়ায় মাকে হত্যা করেছে সে।”
স্থানীয় বাসিন্দা মো. তাজুল ইসলাম বলেন, “বাহার ছোটকাল থেকেই মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। এ কারণে বিয়ের পরপরই তার স্ত্রীও তাকে তালাক দিয়ে চলে যায়।
“আমরা তাকে ‘পাগলা বাহার’ নামে ডাকি। সবসময় তার মাথা গরম থাকে। একটু এদিক-সেদিক হলেই সে পাগলামী শুরু করে। ”
স্থানীয়দের বরাতে ওসি জানান, শুক্রবার দুপুরে আসাদুজ্জামান বাহার টাকা চাইলে তার মা নুরজাহান বেগম কোনো টাকা নেই বলে জানায়। তখন বাহার উত্তেজিত হয়ে রান্নাঘর থেকে দা এনে মাকে কোপাতে শুরু করেন। এতে ঘটনাস্থলেই নুরজাহান বেগমের মৃত্যু হয়।
এ সময় বাহারের একমাত্র বোন দেখে দৌঁড়ে এলে মায়ের নিথর দেহ ফেলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে বাহার। পরে গ্রামবাসী তাকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
ওসি শাহাবুদ্দিনে আরও বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ছেলে আসাদুজ্জামান বাহারকে আটক করা হয়েছে।