“গত ১৭ বছরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে আওয়ামী লীগের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে।”
Published : 06 Aug 2024, 10:56 PM
প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে শেখ হাসিনার দেশত্যাগের একদিন পর দেশের বিভিন্ন জেলায় আনন্দ শোভাযাত্রা ও সমাবেশ করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। সমাবেশ থেকে দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। এছাড়া কারাগারে আটক বিএনপির সব নেতাকর্মীদের মুক্তি দেওয়ার পাশাপাশি ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার বিচারের দাবিও এসেছে এ কর্মসূচি থেকে।
জামালপুরে নেতাকর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান:
জামালপুর জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে মঙ্গলবার বিকালে সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের হাজার হাজার নেতাকর্মীরা উপস্থিত হন।
এ সময় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ওয়ারেছ আলী মামুন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খন্দকার আহসানুজ্জামান রুমেল, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমীন মিলন, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক সজিব খানসহ জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতারা বক্তব্য রাখেন।
ওয়ারেছ আলী মামুন বলেন, “গত ১৭ বছরে বিএনপির হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। উন্নয়নের নামে দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে আওয়ামী লীগের নেতারা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করেছে।”
এ সময় দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের শান্ত থাকার আহ্বান জানান তিনি।
ঝালকাঠিতে বিচার দাবি:
ঝালকাঠিতে বিজয় মিছিল এবং গুম, খুন, হামলা, মিথ্যা মামলা দায়ের ও লুটপাটের জন্য শেখ হাসিনার বিচার দাবি করেন করেছে জেলা বিএনপির নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় শহরের সরকারি মহিলা কলেজের সামনে থেকে মিছিলটি বের হয়। এতে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মো. সৈয়দ হোসেন ও সদস্যসচিব মো. শাহাদাত হোসেন।
মিছিলটি শহর ঘুরে জেলা বিএনপির কার্যালয়ের সামনে গিয়ে শেষ হয়। পরে বক্তরা শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। পাশাপাশি ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বেগম খালেদা জিয়াসহ সকল কারাবন্দিদের মুক্তির দাবি করেন।
মিথ্যা মামলায় আর কারাগারে নয়:
বিএনপির যেসব নেতাকর্মীদের অন্যায়ভাবে কারাগারে নেওয়া হয়েছে তাদের আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মুক্তি দেওয়া হুঁশিয়ারি জানিয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক।
নবাবগঞ্জ উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের বিজয় মিছিলে অংশগ্রহণ শেষে সদর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে এ কথা বলেন তিনি। বিজয় মিছিলে উপজেলা বিএনপির বর্তমান ও সাবেক নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।
খন্দকার আবু আশফাক বলেন, “মিথ্যা মামলায় বছরের পর বছর আর কাউকে কারাগারে ও পালিয়ে থাকতে হবে না। অন্যায়ভাবে যাদের কারাগারে নেওয়া হয়েছে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে তাদের সকলকে মুক্তি দিতে হবে। অন্যথায় আমরা জেল গেটে গিয়ে অবস্থান নিবো। যতক্ষণ না তাদের মুক্তি দেওয়া হয়, আমরা সেখান থেকে ফিরবো না।”
পরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যারা শহীদ ও আহত হয়েছেন তাদের জন্য দোয়া করা হয়।
কুড়িগ্রামে গায়েবানা জানাজা:
গণঅধিকার পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার উদ্যোগে বিজয় মিছিল ও গায়েবানা জানাযা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার সরকার পতনের আন্দোলনে নিহত শিক্ষার্থী ও জনতাদের স্মরণে কুড়িগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পরে প্রেসক্লাবের সামন থেকে একটি বিজয় মিছিল বের হয়।
এ সময় গণঅধিকার পরিষদ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন পলাশ, সদস্য সচিব প্রভাষক আবুল কালাম আজাদ, যুগ্ম সদস্য সচিব মিনারুল ইসলাম ও নাগেশ্বরী উপজেলা শাখার আহ্বায়ক মো. মোশারিফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।