কারাগার থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান।
Published : 06 Aug 2024, 01:34 AM
শেরপুর জেলা কারাগার ভেঙে দেওয়ার পর সেখান থেকে ৫২৭ কয়েদি পালিয়ে গেছে। এ সময় অস্ত্র, গুলি গোলাবারুদ লুট হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা অসহযোগ আন্দোলনের দ্বিতীয় দিন সোমবার শহর আন্দোলনকারীদের দখলে ছিল। শহরের বিভিন্ন স্থানে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বাড়িঘরে হামলা ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
বিকাল ৫টার দিকে একদল লোক শেরপুর জেলা কারাগারে প্রধান ফটক ভেঙে কারাগারে প্রবেশ করে। এ সময় কারাগারে থাকা ৫২৭ কয়েদি পালিয়ে যায়।
এ ছাড়া দুর্বৃত্তরা কিছু আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি লুট করে নিয়ে গেছে বলে জেলা কারাগারের জেল সুপার মোহাম্মদ হুমায়ুন কবীর খান জানান।
সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় তিনি বলেন, শেরপুর সদর থানায় হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেয় ও অস্ত্র লুট করে নিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
শেরপুর নিউ মার্কেটে এক আওয়ামী লীগ নেতার চাইনিজ রেস্টুরেন্টে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। একইস্থানে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও শেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ছানুয়ার হোসেন ছানুর ব্যক্তিগত কার্যালয় ও পৌর শহরের বারাকপাড়া মহল্লার বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক হুইপ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আতিউর রহমান আতিকের শহরের মাধবপুরে বাসভবনে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
এ দিকে মীরগঞ্জে মহল্লায় শেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চেয়ারম্যান মো. হুমায়ুন কবির রুমানের বাসভবন পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। শহরের নয়ানিবাজারের দোকান-পাটে ব্যাপক ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
শেরপুর পৌরসভার মেয়র ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটনের নয়ানিবাজারের বাসায় ভাঙচুর ও নোহাটা এলাকায় মেয়রের রাইস মিলের গোডাউন লুট হয়েছে।
জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী শামছুন্নাহার কামালে শহরের খড়মপুরে বাসা এবং সাধারণ সম্পাদিকা নাসরিন রহমান ফাতেমার খড়মপুরের বাসা ভাঙচুর ও লুটপাটের খবর পাওয়া গেছে।