সুনামগঞ্জে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে সংঘর্ষ

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রোমেনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন।

সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 14 Nov 2022, 10:47 AM
Updated : 14 Nov 2022, 10:47 AM

সুনামগঞ্জের দিরাইয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত ২০ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।

সোমবার উপজেলার বিএডিসি মাঠে মঙ্গলবার বেলা ২টার দিকে এ সংঘর্ষ হয় বলে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও দিরাই বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কামাল মিয়া জানিয়েছেন।

এর ঘণ্টাখানেক আগে আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। সম্মেলন মঞ্চে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য নূরুল ইসলাম নাহিদ, সংসদ সদস্য (সুনামগঞ্জ-২ আসন) জয়া সেনগুপ্তা, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, সদস্য আজিজুস সামাদসদ জেলার নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এ ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খায়রুল কবির রোমেন, জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান সেন্টুসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।

কামাল মিয়া বলেন, দুপুর দেড়টার সময় সম্মেলনের উদ্বোধনী শেষে দ্বিতীয় অধিবেশনের জন্য মঞ্চে আসন নেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ। এ সময় হঠাৎ গত পৌর নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে বহিষ্কৃত হওয়া সাবেক পৌর মেয়র মোশারফ মিয়া ও তার স্বজনরা এবং উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রঞ্জন রায় অতর্কিত মিছিল নিয়ে মঞ্চের দিকে এসে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ শুরু করেন।

এ সময় মঞ্চের পেছনে থাকা স্থানীয় ও জেলা নেতৃবৃন্দরা চেয়ার দিয়ে বেষ্টনী মত করে করে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে রক্ষা করেন। এ সময় সংসদ সদস্য জয়া সেনগুপ্তার সমর্থকের সঙ্গে মোশারফ মিয়া ও তার স্বজনদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ মোশারফ মিয়া ও রঞ্জন রায়সহ তাদের সমর্থকদের তাড়িয়ে দেয়।

অভিযোগ অস্বীকার করে মোশারফ মিয়া বলেন, “আমরা সম্মেলনে অংশ নিতে মিছিল নিয়ে গিয়েছিলাম। এ সময় আমাদের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আমি ও আমার সমর্থকরা কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দকে লক্ষ্য করে আক্রমণ করিনি।”

আর রঞ্জন রায়ের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করে পাওয়া যায়নি।

এদিকে এ ঘটনার ২০ মিনিট পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দরা আবার মঞ্চে বসেন। এ সময় কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন মাইকে মোশারফ মিয়া ও রঞ্জন রায়কে আজীবনের জন্য বহিষ্কারের ঘোষণা দেন। পরে একই ঘোষণা দেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান।

মতিউর রহমান বলেন, “হঠাৎ মোশারফ মিয়া মঞ্চে এসে হামলা করে। এ ঘটনায় আমরা তাকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করেছি।”

এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমেদ হোসেন বলেন, “শেখ হাসিনার মঞ্চে হামলা হয়েছে। যারা প্রকৃতভাবে আওয়ামী লীগ করে তারা এ কাজ করতে পারে না। যারা এ কাজ করেছে তারা জামাত-বিএনপির এজেন্ট।”

দিরাই থানার ওসি মো. সাইফুল আলম বলেন, দিরাই উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় অন্তত ১০-১৫ জন আহত হয়েছে। এখন পরিস্থিতি পুরো নিয়ন্ত্রণে আছে।