রায় ঘিরে বিশৃঙ্খলা এড়াতে আদালত পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা গ্রহণ করে পুলিশ।
Published : 28 Feb 2024, 02:50 PM
নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জামাআতুল মুজাহিদিন বাংলাদেশ-জেএমবির পাঁচ সদস্যকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছে বাগেরহাটের একটি আদালত।
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অতিরিক্ত জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. আতিকুস সামাদ আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন বলে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মো. শহীদুজ্জামান জানান।
দণ্ডিতদের মধ্যে মোর্শেদ আলম, সাইফুল ইসলাম, জহিরুল ইসলাম ও মাকসুদুর রহমানকে তিনটি ধারায় ২ বছর করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজার পাশাপাশি তাদের দশ হাজার টাকা জরিমানাও করেছেন বিচারক। অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে তাদের।
আরেক আসামি তরিকুল ইসলামকে তিনটি ধারার মধ্যে দুটিতে দুই বছর করে এবং একটিতে এক বছর করে কারাদণ্ড এবং দশ হাজার টাকা জরিমানা দেওয়া হয়েছে। এ অর্থ পরিশোধ না করলে তাকে ভোগ করতে হবে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড।
আসামিদের বাড়ি বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন গ্রামে।
এদিকে রায় ঘিরে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে আদালত পাড়ায় বাড়তি নিরাপত্তার ব্যবস্থা করে পুলিশ। রায় জানতে এজলাসের সামনে ভিড় করে শতশত মানুষ।
এর আগে গত ১৫ ফেব্রুয়ারি একই আদালতে এই পাঁচজনসহ আটজনকে একই অভিযোগে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী শহীদুজ্জামান মামলার বরাতে বলেন, ২০১৬ সালের ৩ নভেম্বর গভীর রাতে বাগেরহাট সদর উপজেলার দড়াটানা সেতুর গোবরদিয়া এলাকায় ৬/৭ জেএমবি সদস্য নাশকতার উদ্দেশ্যে জড়ো হয়। পরে পুলিশের সেখানে অভিযানে গেলে টের পেয়ে জেএমবি সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে হাতবোমা ছোড়ে।
এ সময় আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। এক পর্যায়ে জেএমবি সদস্যরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ধাওয়া দিয়ে চারজনকে ধরতে পারলেও বাকিরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে শটগানের গুলির খোসাসহ বেশকিছু সরঞ্জাম জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত পরিচয় বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩৫৩, ৩৩২, ৩০৬ ও ৩৪ ধারায় বাগেরহাট মডেল থানায় একটি মামলা করেন। তদন্ত শেষে ওই থানার এসআই আব্দুল মতিন ২০১৭ সালের ২১ নভেম্বর পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করলে এ মামলার বিচারকাজ শুরু হয়।