দিনাজপুরে পুলিশের ট্রেইনি রিক্রুট কনেস্টবল-টিআরসি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অবৈধ আর্থ লেনদেনের অভিযোগে ছয় পরীক্ষার্থীসহ ১৭ জন গ্রেপ্তার হয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে দিনাজপুর পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ এ কথা জানান।
গ্রেপ্তার মধ্যে রয়েছেন নাঈম উদ্দিন (১৮), আব্দুল কুদ্দুস (৩৮), মিশকাতুল ইসলাম (২৩), রোকুনুজ্জামান (৩০), নাহিদ ইউসুফ (১৮), শারিয়ার সরকার (১৮), মিষ্টার রহমান (১৮), মোহাইমেনুল (১৮), মিজানুর রহমান (১৮), রাজা মিয়া (১৮), পজিরুল ইসলাম (৪৩), সাইফুল ইসলাম (৩৫), মহসিন আলী (৩৫), তারেক রহমান (১৮), শহিদুল ইসলাম (১৮)।
এর আগে আরও দুই জনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার বলেন, ১৮ ফেব্রুয়ারি লিখিত পরীক্ষায় তারেক রহমান নামে এক ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়। পরে তার দেওয়া তথ্যে প্রকৃত পরীক্ষার্থী শহিদুল ইসলামসহ জালিয়াত চক্রের অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ গত তিন দিনে টানা অভিযানে দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, রংপুর, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে বলে তিনি জানান।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ছয়টি এডমিট কার্ড, নয়টি ননজুডিসিয়াল ফাঁকা স্ট্যাম্প, ব্যাংকের চারটি ফাঁকা চেক, নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং ‘প্রতারক চক্রের’ ব্যবহৃত একটি মাইক্রোবাস আটক করা হয় বলেও এই পুলিশ কর্মকর্তা জানান।
গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করে বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।