বেলা ১২টায় জেলার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে।
Published : 26 Apr 2025, 03:42 PM
চুয়াডাঙ্গায় চার দিন ধরে বইছে মাঝারি ও মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে অসুস্থ হয়ে পড়ছে শিশু ও বয়স্করা। হাসপাতালে রোগীর চাপ সামাল দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎকরা।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া, শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডে ধারণ ক্ষমতার চারগুণ বেশি রোগী ভর্তি আছেন। চিকিৎসকরা বলছেন, তীব্র গরমের কারণে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ সময় সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন তারা।
শনিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, একজন চিকিৎসককে ঘিরে আছেন অন্তত ২০ থেকে ২২ জন রোগী। তাদের বেশিরভাগই গরমজনিত কারণে অসুস্থ। অসুস্থদের অনেকেই ডায়রিয়া কিংবা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অনেকে আবর চিকিৎসকদের কাছ থেকে ব্যবস্থাপত্র নিয়ে বাড়িতে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
গরমে অসুস্থ হওয়া স্ত্রীকে নিয়ে মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদী গ্রাম থেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসেছেন ইদ্রিস হোসেন।
তিনি বলেন, “জরুরি বিভাগে রোগীর খুব ভিড়। চিকিৎসকের পরামর্শে স্ত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। ডাক্তার দেখে গেছেন। রোগী ভাল আছে।”
সদর হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের এক সেবিকা বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে বেশিরভাগ সময় ৫০ জন, কখনো তারও বেশি রোগী ভর্তি থাকছে। ২৪ ঘণ্টায় রোগী ভর্তি হয়েছে অন্তত ২৫ থেকে ২৬ জন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার মো. তারেক জুনায়েদ বলেন, “৫০ শয্যার লোকবল নিয়ে আড়াইশ শয্যার সদর হাসপাতালে রোগীদের সেবা দেওয়া হচ্ছে। লোকবল কম থাকায় রোগী সামাল দেওয়া কষ্টকর হয়ে পড়েছে।
“প্রতিদিন এই হাসপাতালে অন্তত ৪০০ রোগী ভর্তি থাকেন; যা ধারণ ক্ষমতার চেয়ে চারগুণ বেশি। এসব রোগীদের ৫০ শয্যার লোকবল দিয়ে সেবা দিতে হচ্ছে।”
তবে তীব্র গরম থেকে সুস্থ থাকতে বেশকিছু পরামর্শ দিয়েছেন তারেক জুনায়েদ। তিনি বলেন, “এ সময় বিশ্রামে থাকতে হবে। রোদ-গরম এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের কোনো খাবার খাওয়া যাবে না। বাড়িতে তৈরি করা খাবার খেতে হবে।”
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ জামিনুর রহমান বলেন, শনিবার বেলা ১২টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস; যা শুক্রবার দুপুর ৩টায় ছিল ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগের দিন বৃহস্পতিবার দুপুর ৩টায় তাপমাত্রা ছিল ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বুধবার বেলা ৩টায় জেলার তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী মঙ্গলবার থেকে চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু ও মাঝারি তাপপ্রবাহ প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানান জামিনুর রহমান।