দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে একজনকে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়।
Published : 11 Mar 2025, 04:02 PM
দ্রুত সময়ের মধ্যে ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্যারিস রোডের পাশে ফাঁসির মঞ্চ তৈরি করে সেখানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মারকে প্রতীকী ফাঁসি দেওয়া হয়।
বেলা ১২টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত চলা এই প্রতিবাদ ও ফাঁসির মঞ্চ ঘিরে সমবেত হন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
আন্দোলনকারী বলেন, শুধু মাগুরার ৮ বছরের ওই শিশুটি নয় বিভিন্নস্থানে ধর্ষণসহ নানা অপরাধে অস্থিতিশীল হয়েছে দেশে। ধর্ষণ মামলার ১৫ দিনের মধ্যে তদন্ত এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিচারকার্য শেষ করার দাবি করেছেন তারা।
ধর্ষণ মামলার বিচার নিয়ে সম্প্রতি আইন মন্ত্রণালয় থেকে যে ১৮০ দিনের বিধান রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে, তা মামলায় দীর্ঘ সুত্রিতা তৈরি করবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী নাজিফা আনজুম মিম বলেন, “ধর্ষকের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করতে হবে। ইন্টেরিম সরকার ধর্ষকের বিচারে ১৮০ দিনের টালবাহানা করছে, ততদিনে দেশে আরও হাজার হাজার ইস্যু চলে আসবে এবং এটি ধামাচাপা পড়ে যাবে।
“যেমন আমরা তনুকে ভুলে গেছি, তেমনি এই ১৮০ দিনে আমরা মাগুরার ওই শিশুকেও ভুলে যাব। তাই যত দ্রুত সম্ভব ধর্ষকদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে।”
ধর্ষণবিরোধী আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় তারা প্রতীকী ফাঁসি ও দ্রোহের কবিতা পাঠ আয়োজন করেছেন বলে জানান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক সমন্বয়ক কামরুল ইসলাম সজিব।
তিনি বলেন, “এই ফাঁসির মঞ্চ থেকে ইন্টেরিম সরকারকে একটা মেসেজ দিতে চাই যে, আইন অনুযায়ী ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তারা যেন দ্রুত তা বাস্তবায়ন করে একটা নজির সৃষ্টি করেন।
“সরকারকে অনুরোধ করব, ধর্ষণের তদন্তের জন্য যে ডিএনএ স্যাম্পলিং মেশিন দরকার, যেটা শুধু ঢাকায় আছে, সেটা যেন প্রত্যেক বিভাগে দেওয়া হয়।”
তাদের এই মঞ্চকে দেশের সকল ধর্ষকের ফাঁসির মঞ্চ হিসেবে তুলে ধরতে চেয়েছেন সাবেক সমন্বয়ক সালাউদ্দিন আম্মার।
তিনি বলেন, “একটা দলকে এলিট শ্রেণী দেখে তাদের বিচারকার্য যেন স্থগিত করা না হয়। র্যাবের আলেপের বিচারকার্য যেমন এই ফাঁসির মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে, তেমনি মাগুরার ধর্ষকের বিচারকার্যও একই মঞ্চে সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া পররাষ্ট্র ক্যাডারের বাবার বিচারও এই মঞ্চেই করতে হবে।”