ভোলার সাগর মোহনায় ট্রলার ডুবি, নিখোঁজ ৮

লঘুচাপের প্রভাবে ভোলার চরফ্যাশন সাগরের মোহনায় একটি মাছ ধরার ট্রলার ডুবে গেছে। এতে ট্রলারে থাকা জেলেদের মধ্যে পাঁচ জনকে উদ্ধার করা গেলেও আট জনও নিখোঁজ।

ঢালচরের শিবচর এলাকায় মাছ ধরে ফিরে আসার সময় শুক্রবার রাতে ট্রলারটি উল্টে যায় বলে জানিয়েছেন চরফ্যাশন উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মারুফ হোসেন মিনার।

তিনি জানান, এক সপ্তাহ আগে বৈরি আবহাওয়ার মধ্যে চরফ্যাশন উপজেলার আহম্মদপুর ইউনিয়নের শুকনা খালি মৎস্য ঘাট থেকে দুলাল চৌকিদারের একটি ধরা জালের ট্রলার করে ১৩ জেলে মাছ ধরতে যায় সাগর মোহনায়। শুক্রবার রাতে সেটি ঘাটে ফিরছিল।

তখন সাগরের বড় বড় ঢেউয়ের আঘাতে ট্রলারটি উল্টে যায়। রাতেই আরেকটি মাছ ধরার ট্রলার পাঁচ জেলেকে উদ্ধার করে। বাকি জেলেরা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- নুরাবাদ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সেলিমের ছেলে নুর আলম, (৩০), একই ওয়ার্ডের মো. হোসেনের ছেলে কবির (৩২), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের শাহে আলম মোল্লা (৫০), আহম্মদপুর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের গনি মৃধার ছেলে মো. বেল্লাল (৫০), জলিল মালের ছেলে ছাদেক মাল (৬০), তাজুল মালের ছেলে সবুজ (৪০), শাহে আলমের ছেলে জাহাঙ্গীর মিস্ত্রি (৪৫), আহম্মেদপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের নুরুল হক মাতাব্বরের ছেলে মো. হোসেন মাঝি (৫০)।

উদ্ধার হওয়া জেলেরা হলেন- আহম্মেদপুর ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মহাসিন মাঝির ছেলে দুলাল মাঝি (৪০), ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাশেম মৃধার ছেলে শাহিন (২৫), নুরাবাদ ৯ নম্বর ওয়ার্ডের হাফেজ আহমেদের ছেলে নাজিম (৪৪), নুরাবাদ ৮ নম্বর ওয়ার্ডের আ. রব মুন্সির ছেলে সুমন (৩৮), একই ওয়ার্ডের মো. মোশারফ হোসেনের ছেলে মনির (৩৩)।

আহম্মদপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, উদ্ধার হওয়া জেলেরা রাতেই তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। আর নিখোঁজ জেলেদের পরিবারের মধ্যে চলছে চরম উৎকণ্ঠা। তারা তাদের পরিবারের সদস্যদের জীবিত ফিরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান।

সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মিনার বলেন, “আমরা নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধার করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কোস্ট গার্ড নিখোঁজদের উদ্ধারের চেষ্টা করবে বলে আশা করি। এছাড়া স্থানীয় ব্যবসায়ীরাও তারা নিজস্বভাবে নিখোঁজ জেলেদের খুজঁতে বের হয়েছেন।”