এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বন্ধুর স্ত্রীকে আটক করেছে পুলিশ।
Published : 04 Jan 2025, 06:25 PM
ফরিদপুরে নিখোঁজের চার দিন পর বন্ধুর ভাড়া বাসার পেছনে পুঁতে রাখা এক রিকশাচালকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে শহরের চুনাঘাটা মডেল টাউন এলাকা থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয় বলে ফরিদপুরের এসপি আব্দুল জলিল জানান।
নিহত হালিম শেখ (২৫) শহরের আলিপুর গোরস্থান এলাকার মৃত আব্দুর রব শেখের ছেলে।
এ ঘটনায় রনি মোল্যা (২৫) নামে হালিমের ওই বন্ধুর স্ত্রীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
রনি মোল্যা নরসিংদি জেলার রায়পুর এলাকার আব্দুল মতিনের পুত্র। মাত্র দেড় মাস আগে তিনি ফরিদপুরের চুনাঘাটা মহল্লার একটি বাসা ভাড়া নেন।
বাসার পেছন থেকে লাশ উদ্ধারের পর থেকে তাকে পাওয়া যাচ্ছে না।
নিহতের বড় বোন সাথী আক্তার ও স্বজনদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত ৩১ ডিসেম্বর রাতে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হন হালিম। নিখোঁজের আগে ওইদিন রনির মোল্যার সঙ্গে হালিমকে ঘুরতে দেখেন স্থানীয়রা।
হালিম নিখোঁজের ঘটনায় শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
ওইদিন সকালে হালিমের পরিবারের লোকজন চুনাঘাটা মডেল টাউনের মো. মোখলেসুর রহমানের বাড়ির ভাড়াটিয়া রনির বাসায় এসে ভেতর থেকে গেইট আটকানো দেখতে পান।
একপর্যায়ে গেইট ভেঙে ভেতরে গিয়ে একটি দুচলা টিনের ঘরের ভেতর হালিমের রিকশাটি দেখতে পান তারা।
এরপর ওই ঘরের পেছনে বালি-মাটি দিয়ে কিছু ঢেকে রাখা দেখতে পেয়ে থানা পুলিশকে জানানো হয়।
পুলিশ এসে দুপুর দেড়টার দিকে মাটি খুঁড়ে প্লাস্টিকের বস্তা দিয়ে মোড়িয়ে পুঁতে রাখা অবস্থায় হালিমের লাশ উদ্ধার করে।
রিকশাটির মালিক নূর ইসলাম বলেন, গত মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হালিম তাকে ফোনে জানান, তিনি রাতে রিকশা নিয়ে গ্যারেজে যাবেন না; এক আত্মীয়ের বাড়ি বেড়াতে গেছেন। পরের দিন ফিরবেন।
নূর ইসলাম বলেন, “এক পর্যায়ে আমরা জানতে পারি, হালিমের বন্ধু রনি মোল্যা তাকে ভাড়া করে নিয়ে যায়। রনির বাড়িতে এসেই তার লাশ পেলাম।”
খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান ফরিদপুরের এসপি আব্দুল জলিল, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) শৈলেন চাকমা, কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাউদজ্জামানসহ পুলিশের বিভিন্ন শাখার কর্মকর্তারা।
এসপি আব্দুল জলিল বলেন, শুক্রবার কোতোয়ালি থানায় একটি জিডি করেন নিহতের পরিবারের সদস্যরা।
স্বজনদের সন্দেহের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে হালিমের লাশ উদ্ধার ও তার রিকশার সন্ধান মেলে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রনির স্ত্রীকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
এসপি বলেন, “লাশের ঘাড়ে কোপের চিহ্ন রয়েছে। সম্ভবত তাকে কুপিয়ে হত্যার পর এখানে পুঁতে রাখা হয়।”
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. আসাদুজ্জামান বলেন, “লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।”