মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের দ্বিতীয় জানাজায় শোকার্ত এলাকাবাসীর ঢল নামে।
Published : 03 Mar 2024, 04:42 PM
ঢাকার বেইলি রোডে গ্রিন কোজি কটেজে স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে আগুনে পুড়ে নিহত শুল্ক কর্মকর্তা শাহজালাল উদ্দিনকে তার গ্রামের বাড়ি কক্সবাজারের উখিয়ায় দাফন করা হয়েছে।
রোববার বেলা ১২টায় উপজেলার পশ্চিম মরিচ্যায় স্থানীয় মসজিদ সংলগ্ন পারিবারিক কবরস্থানে স্ত্রী মেহেরুন নিসা ও চার বছরের মেয়ে ফাইরুজ কাশেম জামিরার সঙ্গে পাশাপাশি কবরে শাহজালালকে দাফন করা হয় বলে তার ছোট ভাই কাশেম বিন লিঙ্কন জানান।
এর আগে মরিচ্যা মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তাদের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়; এ সময় শোকার্ত এলাকাবাসীর ঢল নামে।
জানাজার আগে নিহতদের নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন নিহত শাহজালালের বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাশেম, উখিয়া-টেকনাফের সাবেক সংসদ সদস্য আবদুর রহমান বদি, উখিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও রাজাপালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর কবির চৌধুরী, ঝিলংজা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান টিপু সুলতান, হলদিয়া পালং ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস ও পরিবারের সদস্যরা।
কাস্টমস ইন্সপেক্টর শাহজালাল নারায়ণগঞ্জ জেলার পানগাঁও কাস্টমস অফিসে কর্মরত ছিলেন। টানা তিনদিনের ছুটি পাওয়ায় বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকা থেকে স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে খাগড়াছড়ি ভ্রমণে যাওয়ার কথা ছিল তার। কিন্তু সেখানে রওনা দেওয়ার আগেই বেইলি রোডের সেই কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁয় খেতে গিয়ে একমাত্র সন্তান ও স্ত্রীসহ আগুনে দগ্ধ হয়ে প্রাণ যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ২৪ ঘণ্টা অতিবাহিত হওয়ার পরও তাদের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের মর্গে পড়েছিল। পরে শুক্রবার রাতে তিনজনের মরদেহ শনাক্ত করেন স্বজনরা।
শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে তিনজনের মরদেহ গ্রহণ করেন শাহজালাল উদ্দিনের বড় ভাই উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান সাজু।
আরও পড়ুন
কথা ছিল খাগড়াছড়ি যাবেন, আগুনে স্ত্রী-সন্তানসহ মারা গেলেন শুল্ক কর্মকর্তা