বাস বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত ভাড়া ও ঝুঁকি নিয়ে থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন বাহনে গন্তব্যে যাত্রা করছেন।
Published : 29 Jan 2025, 11:26 AM
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে গণ্ডগোলের পরদিন নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে কাজে যোগ দেননি বরিশালের বাস শ্রমিকরা। এতে বরিশালের দক্ষিণ, দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে নগরীর রুপাতলী বাস টার্মিনাল থেকে পটুয়াখালী, বরগুনা, ঝালকাঠি, পিরোজপুর জেলার বিভিন্ন রুটসহ খুলনা-বাগেরহাট রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন রুপাতলী বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম চৌধুরী।
তিনি জানান, শুধু রুপাতলী নয় বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।
তবে কী কারণে বন্ধ রয়েছে এ বিষয়ে বিস্তারিত না জানিয়ে তিনি বলেন, “গতকাল (মঙ্গলবার) শ্রমিকদের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু গণমাধ্যম সে বিষয়টি তুলে না ধরে শ্রমিকদের বিপক্ষেই সংবাদ প্রচার করেছে। যা কোনো ভাবেই কাম্য নয়।”
ঝালকাঠি বাস শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর বলেন, “বিভিন্ন সময় বাস ভাড়া নিয়ে সমস্যা হওয়াসহ নানান কারণে শ্রমিকদের মারধর করা হয়, বাস ভাঙচুর করা হয়। এর ফলে শ্রমিকরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তাই তারা কাজে যোগ না দেয়ায় বরিশালের ১৫টি রুটে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে।”
শ্রমিক ইউনিয়নের অন্য নেতারাও জানিয়েছেন, বিভিন্ন সময়েই শ্রমিকদের লাঞ্চিত করা হয়, তাই জান-মালের নিরাপত্তা চেয়ে তারা আন্দোলনে নেমেছেন। নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মবিরতি চালিয়ে যাবেন।
বাস চলাচল বন্ধ থাকায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রীরা। তারা অতিরিক্ত ভাড়া ও ঝুঁকি নিয়ে থ্রি-হুইলারসহ বিভিন্ন যানবাহনে গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যাত্রা করছেন।
এর আগে মঙ্গলবার বিকালে হাফ ভাড়া নিয়ে বরিশালের সরকারি ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে বাস শ্রমিকদের বাকবিতণ্ডা হয়।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, ওই নারী শিক্ষার্থীকে লাঞ্ছিত করেছে বাসের হেলপার ও চালক। এ বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ১০ সদস্যের একটি দল বরিশাল রূপাতলী বাস মালিক সমিতিতে গেলে সেখানে তাদের উপরেও হামলা করা হয়।
যার সূত্রে ধরে শিক্ষার্থীরা করে।
যার পরিপ্রেক্ষিতে দোষীদের বিচার ও হামলাকারীদের বিরুদ্ধ ব্যবস্থা নেয়াসহ বেশ কিছু দাবি জানিয়ে রূপাতলী গোল চত্বরে অবস্থান নিয়ে টায়ার জ্বালিয়ে বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করেন তারা।
বিক্ষোভকালে শিক্ষার্থীরা প্রথমে আট দফা ও পরে চার দফা দাবি জানিয়েছে। তাদের দাবি পূরণের আশ্বাসে সাড়ে তিন ঘণ্টা পর সড়ক থেকে সরেন শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে বাস শ্রমিকরা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে সড়ক অবরোধ করে তাওহীদ পরিবহনের একটি বাস ভাঙচুর করে এবং শ্রমিকদের ওপর হামলা চালায়। এতে এক শ্রমিক গুরুতর আহত এবং কয়েকজন কমবেশি আহত হয়। “