এ ঘটনায় দুইজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আট জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
Published : 09 Feb 2025, 11:45 PM
বরিশালের গৌরনদীতে গণঅধিকার পরিষদের উপজেলা কার্যালয় মালামাল ভাঙচুর করে টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
রোববার সকালে কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয় বলে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন দলটির বরিশাল জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নুরুল আমিন।
তবে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, ভাঙচুর নয়। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে মালামাল বের করে কক্ষ তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
নুরুল আমিন বলেন, তিনমাস আগে উপজেলার উত্তর বিজয়পুর গয়নাঘাট ব্রিজ এলাকায় নুরুল ইসলাম বেপারীর কাছ থেকে একটি টিনসেট ঘর ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় করেন।
সেখানে ৩০টি চেয়ার, টেবিলসহ একলাখ ৪৭ হাজার ৭৩২ টাকা ও গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক কাগজপত্র ছিল।
তিনি অভিযোগ করেন, রোববার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ পালরদী গ্রামের বাসিন্দা খলিল বেপারী ও তার স্ত্রী ফিরোজা বেগমসহ অজ্ঞাত ৭-৮ জন দেশীয় অস্ত্র দা, কুড়াল, লোহার রড ও শাবল নিয়ে দলীয় কার্যালয়ে হামলা করে। তারা চেয়ার টেবিল ভাঙচুর করে নগদ টাকা ও কাগজপত্র নিয়ে গেছে।
এ ঘটনায় দুইজনের নামোল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও আট জনের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
তবে গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, “যে ঘরটি ভাড়া নিয়ে দলীয় কার্যালয় করা হয়েছে তার মালিকানা নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব ও মামলা রয়েছে। তারা এক পক্ষের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছে। অন্য পক্ষ এসে মালামাল বের করে কক্ষ তালা দিয়েছে বলে জানতে পেরেছি।
“তবুও এ ঘটনায় দেওয়া অভিযোগ তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযোগের সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ওসির বক্তব্যর বিষয়ে নুরুল আমিন বলেন, “কার্যালয়ের সাইনবোর্ড রয়েছে। সেখানে আমাদের নম্বর রয়েছে। মালিকানা নিয়ে দ্বন্দ্ব থাকলে আমাদের কল করে মালামাল সরিয়ে নিতে বলতো।
“কিন্তু তারা এ কাজটি করেনি। এছাড়া আমরা নগদ অর্থ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রও পাইনি।”