Published : 11 Jul 2024, 06:57 PM
কুড়িগ্রামে টানা ১১ দিন ধরে বন্যার পানিতে তলিয়ে আছে চর ও নিম্নাঞ্চলের সবগুলো এলাকা। বুধবার দুপুরের পর থেকে আবারও নদ-নদীর পানি বাড়তে শুরু করেছে।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সকালে পানির স্রোতে ধরলা সেতুর পূর্ব দিকে ৩০ মিটার সংযোগ সড়কের প্রস্থে ৫ ফিট এবং দৈর্ঘ্যে ১৫ মিটার ধসে গেছে বলে জানিয়েছে কুড়িগ্রাম সড়ক ও জনপথ বিভাগ।
সকাল থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত নাগেশ্বরী, ফুলবাড়ী ও ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সঙ্গে জেলা শহরের যোগাযোগ বন্ধ ছিল। তবে দ্রুত মেরামতের পর দুপুরে আংশিকভাবে যান চলাচলের জন্য সড়কটি খুলে দেয় সড়ক বিভাগ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানিয়েছে, জেলার সবকটি নদ-নদীর পানি পুনরায় বাড়তে শুরু করেছে। ফলে বৃহস্পতিবার ধরলা, দুধকুমার ও ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে।
হু-হু করে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ধরলা নদীর তীরবর্তী ভোগডাঙ্গা, পাঁছগাছি ও শুলকুর বাজার এলাকার বেশ কয়েকটি পাকা সড়ক ডুবে গেছে। এসব এলাকায় ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
স্থানীয় ব্যবসায়ী আবু মিয়া বলেন, “সকাল সাড়ে ৭টার দিক দোকান খুলতে গিয়ে দেখি সেতুর সংযোগ সড়ক ধরলার পানিতে ভেঙে খাল হয়ে গেছে। সেই সময় সেতু দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ ছিল।”
ট্রাকচালক হযরত আলী বলেন, “সকাল পৌনে ১০টার দিক সেতুর এক পাশে টোল দিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলাম। সোনাহাট বন্দরে পাথর আনতে যাব। দুই ঘণ্টা পর বেলা ১২টার দিকে গাড়ি ছেড়ে দেয়।”
খবর পাওয়ার পর দ্রুত সেতুর পূর্বদিকে ধসে যাওয়া অংশ মেরামত করে আংশিক যান চলাচলের উপযোগী করা হয় বলে জানিয়েছেন জেলা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ধসে যাওয়া ১৫ মিটারে আপাতত বালু ও খোয়া ফেলে ধীর গতিতে যান চলাচলের জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্ষা পার হলে স্থায়ীভাবে মেরামত করা হবে।