বৃহস্পতিবার উখিয়ার কুতুপালং ২ ইস্ট নম্বর এবং ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এ দুটি ঘটনা ঘটে বলে ওসি আরিফ হোছাইন জানান।
Published : 17 Oct 2024, 10:30 PM
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার ক্যাম্প থেকে এক রোহিঙ্গা যুবককে মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়েছে।
অপরদিকে আরেকটি ক্যাম্পে রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র সংগঠন আরসা ও আরএসও সদস্যদের মধ্যে সংঘর্ষে এক এনজিও কর্মিসহ দুজন গুলিবিদ্ধ এবং তিনজন আহত হয়েছেন।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার কুতুপালং ২ ইস্ট নম্বর এবং ১৫ নম্বর ক্যাম্পে এ দুটি ঘটনা ঘটে বলে উখিয়ার থানার ওসি মো. আরিফ হোছাইন জানান।
পুলিশ জানায়, কুতুপালং ২ ইস্ট ক্যাম্পের পরিত্যক্ত একটি ঘর মোহাম্মদ এমরান (১৮) নামে এক রোহিঙ্গা যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি উখিয়ার ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের জি-৮১ ব্লকের মোহাম্মদ ইদ্রিসের ছেলে।
ওসি আরিফ হোছাইন বলেন, “ধারণা করা হচ্ছে, সন্ত্রাসীরা গলাটিপে এই যুবককে হত্যা করেছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
অপরদিকে পুলিশ জানায়, সকাল ৯টা ও দুপুর ১২টায় দুই দফায় ময়নাঘোণার ১৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আরসা ও আরএসওর মধ্যে গোলাগুলি হয়।
এ সময় পালংখালী ইউনিয়নের বালুখালি এলাকার ওমর হাকিমের ছেলে এবং এনজিও পরিচালিত ক্যাম্পের লার্নিং সেন্টারে পিও মৌলভী বেলাল উদ্দিন (৩৫) এবং ১৫ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ডি ৭ এর হোসেনের ছেলে ওমর ফারুক (৩০) গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
এ ছাড়া ব্লক ৩ এর আবদুর রশিদের ছেল মো. ইউনুস (২৫), ১১ নম্বর ক্যাম্পের ব্লক ২ এর মো. আলমের ছেলে আবদুল্লাহ (১৮) এবং ১৪ নম্বর ক্যাম্পের আবদুল গনির মেয়ে হামিদা (৫০) ধরালো অস্ত্রের আঘাতে আহত হয়েছেন।
উখিয়া থানার ওসি আরিফ হোছাইন বলেন, আহতদের প্রথমে এমএসএফ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের সবাইকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি ক্যাম্পে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের টহল জোরদার করা হয়েছে বলেও জানায় পুলিশ।