তিন দিন ধরে নিখোঁজ বাংলাদেশির লাশ এল ভারত থেকে

ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনির গুরুতর আহত অবস্থায় দেশটির ডালু এলাকার একটি স্থানে পড়েছিলেন।

শেরপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 4 May 2023, 04:08 PM
Updated : 4 May 2023, 04:08 PM

শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে এক বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।

বৃহস্পতিবার বিকালে দুই দেশের মধ্যে পতাকা বৈঠক শেষে ওই বাংলাদেশির মরদেহ ফেরত দেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন শেরপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমান।

নিহত মনির হোসেন (৪৩) তিনদিন আগে শেরপুরের সীমান্ত এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। তিনি শ্রীবরদী উপজেলার রানীশিমুল ইউনিয়নের পশ্চিম খাড়ামোড়া গ্রামের মৃত মুন্সের আলীর ছেলে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, ভারতীয় পুলিশের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মনির গুরুতর আহত অবস্থায় দেশটির ডালু এলাকার একটি স্থানে পড়েছিলেন। খবর পেয়ে ১ মে রাতে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে ডালু থানা পুলিশ। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২ মে তার মৃত্যু হয়।

মরদেহ বুঝে পাওয়ার পর তা ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেরপুর জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে জানান তিনি।

সাইদুর রহমান বলেন, ”প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। এর আগে ভারতের হাসপাতালে ময়নাতদন্ত হলেও সেখানে মৃত্যুর কারণ উল্লেখ নেই।”

মনিরের পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে ঢাকায় থাকতেন তিনি। সেখানে মনির রাজমিস্ত্রির কাজ এবং তার স্ত্রী গার্মেন্টসে চাকরি করতেন। ঈদের ছুটিতে গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যান তিনি। ১ মে রাত থেকেই তিনি নিখোঁজ ছিলেন। পরে পুলিশের মাধ্যমে খবর পাওয়া যায় যে, তার মরদেহ ভারতের একটি হাসপাতালে রয়েছে।

এ বিষয়ে পতাকা বৈঠক শেষে নাকুগাঁও স্থলবন্দর সংলগ্ন ইমিগ্রেশন চেক পোস্ট দিয়ে মনিরের মরদেহ হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ। তার ভাই মিজানুর রহমান মরদেহটি গ্রহণ করেন।

ভারতীয় পুলিশের বরাত দিয়ে শেরপুর জেলা পুলিশ জানিয়েছে, মনির মৃত্যুর আগে তার নাম-ঠিকানা বলে গিয়েছিলেন।

মরদেহ হস্তান্তরের আনুষ্ঠানিকতায় বাংলাদেশের পক্ষে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে উপস্থিত ছিলেন নালিতাবাড়ী সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার রায়হানা ইয়াসমিন, নালিতাবাড়ী থানার ওসি মো. এমদাদুল হক এবং শ্রীবরদী থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস। এ ছাড়া ভারতের মেঘালয় পুলিশের পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন ডালু থানার ওসি দীনবন্ধু বর্মন।