নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও অলঙ্কার পরে নেচে-গেয়ে মারমা তরুণ-তরুণীরা শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
Published : 13 Apr 2025, 01:04 PM
নতুন বছরকে বরণ করে নিতে খাগড়াছড়িতে মারমা সম্প্রদায়ের মাহা সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষ্যে শোভাযাত্রা হয়েছে।
রোববার সকালে মারমা ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রা আপার পেরাছড়ায় গিয়ে শেষ হয়।
নিজেদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক ও অলঙ্কার পরে নেচে-গেয়ে শোভাযাত্রায় যোগ দেন মারমা তরুণ-তরুণীরা।
এর আগে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করে খাগড়াছড়ির সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা বিএনপির সভাপতি ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, “আমি পাহাড়ি ভাই-বোনদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। এই ধরনের অনুষ্ঠান আমাদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সর্ম্পক তৈরি করবে। পাহাড়ি ও বাঙালিদের মধ্যে যে সম্প্রীতি রয়েছে তা আরও বেশি সুদৃঢ় করবে।”
মঙ্গল শোভাযাত্র্রায় অংশ নেওয়া পৈজিতা মারমা বলেন, “বছরজুড়ে আমরা আজকের এই দিনের জন্য অপেক্ষা করি। আজকে এখানে অংশ নিতে পেরে ভালো লাগছে। র্যালি শেষে আরও বেশ কিছু আয়োজন রয়েছে।”
উৎসবে অংশ নেয়া এলিচিং মারমা বলেন, “কালকে আমাদের মূল সাংগ্রাই। র্যালির মাধ্যমে আমরা সাংগ্রাইয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছি। আজকে আমরা এখানে পরী সেজে এসেছি। পরী সেজে ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সাংগ্রাইয়ের শোভাযাত্রায় অংশ নিয়েছি।”
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এবিএম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকারও শোভাযাত্রায় অংশ নেন।
তিনি বলেন, “শুধু খাগড়াছড়ি নয়। পুরো পার্বত্য জেলায় উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিজু, বৈসু এবং সাংগ্রাইসহ অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর যে উৎসব চলছে তা আমাদের অনুপ্রেরণায় বিষয়। আমরা সকল জাতিগোষ্ঠী একত্রে উৎসবগুলো পালন করছি।
“এর মাধ্যমে কৃষ্ট-সংস্কৃতিকে জাতীয় এবং আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে তুলে ধরছি। এর ফলে একটি সুখী, সৃমদ্ধ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে পারব।”
মারমা ঐক্য পরিষদের ম্রাসাথোয়াই মারমা বলেন, “উৎসবের মাধ্যমে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের স্বকীয়তা রক্ষার লক্ষ্যে এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন করা হয়েছে। আগামী ১৮ এপ্রিল মারমা ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে মৈত্রী জল বর্ষণ বা পানি খেলার আয়োজন করা হয়েছে।”