হাজং শিল্পীরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেউলী পূজা অর্চনা হয়।
Published : 14 Jan 2025, 12:56 AM
নেত্রকোণার দুর্গাপুরে হাজং সম্প্রদায়ের ঐতিহ্যবাহী দেউলী পৌষ উৎসব উদযাপিত হয়েছে।
সোমবার বিকালে বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি হলরুমে উৎসবের উদ্বোধন করেন আদিবাসী লেখক ও গবেষক মতিলাল হাজং। পরে আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, দেউলী পূজাসহ নানা আয়োজন হয়।
ইউনেস্কো ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের অর্থায়নে এবং আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার আয়োজনে এ উৎসবে পাহাড়ের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা অংশ নেন।
কবি দোলন হাজং ও মনীষা হাজংয়ের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন আদিবাসী কল্যাণ ও উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি কবি মং এ খেন মংমং। সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিরিশিরি ডনবস্কো কলেজের পরিচালক ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক।
অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন বিরিশিরি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমির পরিচালক গীতিকবি সুজন হাজং, জাতীয় জাদুঘরের কিপার আসমা ফেরদৌস, শিক্ষক মণীন্দ্রনাথ মারাক, বাংলাদেশ জাতীয় হাজং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক পল্টন হাজং, বিপুল হাজং, নারীনেত্রী সন্ধ্যা রাণী হাজং, চিত্রশিল্পী ও গাঁওমোড়ল বিশ্বজিৎ হাজং রূপক, কবি জন ক্রসওয়েল খকশি।
গীতিকবি সুজন হাজং বলেন, “হাজংরা উৎসবমুখর জাতি। হাজংদের অধিকাংশ উৎসব বিলুপ্তির পথে। তাদের ধর্মীয় ও কৃষিভিত্তিক উৎসবগুলোর মধ্যে দেউলী পৌষ উৎসব অন্যতম।”
কবি মং এ খেন মংমং বলেন, “হাজংদের নিজেদের আত্মপরিচয়, সংস্কৃতি চর্চা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণে আরো বেশি যত্নশীল হতে হবে। তারা যেন তাদের সোনালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করতে পারে এটাই এই উৎসব আয়োজনের মূল লক্ষ্য।”
ফাদার পাওয়েল কুচওয়ালিক বলেন, “সংস্কৃতিবান জনগোষ্ঠী হিসেবে হাজংরা তাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে এখনো টিকিয়ে রেখেছে। আমি বিশ্বাস করি, হাজং সম্প্রদায়ের মধ্যে সাংস্কৃতিক চেতনা উজ্জীবিত করার লক্ষ্যে দেউলী উৎসব উদযাপন একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।”
আলোচনা শেষে বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আগত হাজং শিল্পীরা নৃত্য ও গান পরিবেশন করেন। সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্জ্বলন ও দেউলী পূজা অর্চনা হয়।