“প্রজনন মৌসুম শুরুর পর প্রতিবছর অক্টোবর থেকে সমুদ্রতীরে আসতে শুরু করে কাছিম।”
Published : 31 Jan 2024, 10:58 PM
কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সমুদ্র সৈকতের বালিয়াড়িতে ১২৫ ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে গেছে একটি কাছিম।
মঙ্গলবার রাতে উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের সোনারপাড়া এলাকার বালিয়ারিতে অলিভ রিডলে প্রজাতির কাছিমটি ডিমগুলো পাড়ে বলে জানান বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ।
বালিয়াড়িতে প্রায় দুই ফুট গর্ত করে মা কাছিমটি ডিমগুলো পাড়ে। বুধবার দুপুরে এসব ডিম প্রজননের জন্য সোনারপাড়া সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘেরাও দিয়ে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
সৈকতের পাশেই রামু উপজেলার পেঁচারদ্বীপে বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউট (বোরি) অবস্থিত।
প্রতিষ্ঠানটির মহাপরিচালক অধ্যাপক তৌহিদা রশীদ বলেন, “ডিমগুলো বাচ্চা ফোটাতে ৬০ থেকে ৬৫ দিন লাগবে। এ সময়ে বোরির বিজ্ঞানীরা গবেষণার পাশাপাশি এই হ্যাচারিটি দেখভাল করবেন। হ্যাচারিতে ডিমগুলো প্রজননের জন্যে প্রায় দুই ফুটের দুটি গর্ত খোঁড়া হয়েছে।”
বোরির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, “অলিভ রিডলে প্রজাতির কাছিমটি ১২৫টি ডিম পেড়ে সাগরে ফিরে গেছে। গত বছর একই সৈকতে একটি কাছিম ৯১টি ডিম পেড়েছিল। এই ডিম সৈকতের প্রাকৃতিক পরিবেশে সংরক্ষণ করে প্রজননের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। সেখানে ৮৪টি সুস্থ-সবল কাছিমের বাচ্চা ফোটানো সম্ভব হয়েছিল। কাছিমের ওই বাচ্চাগুলো পরে সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছিল।”
তিনি বলেন, “প্রজনন মৌসুম শুরুর পর প্রতিবছর অক্টোবর থেকে সমুদ্রতীরে আসতে শুরু করে কাছিম। এপ্রিল পর্যন্ত কাছিম ডিম পাড়ে।”
ডিমগুলো সংরক্ষণের সময় ভারতের রাজকাঁকড়া বিশেষজ্ঞ ও জৈব সমুদ্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র বিসওয়াল, সামুদ্রিক জীববৈচিত্র্য গবেষক আহমদ গিয়াস, বোরির বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো. শিমুল ভুঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।
অধ্যাপক গোবিন্দ চন্দ্র বিসওয়াল বলেন, “কাছিমের প্রজনন বাড়াতে জনসচেতনতা সবচেয়ে জরুরি।”
বোরির পাশাপাশি পরিবেশবাদী সংস্থা নেচার কনজার্ভেশন ম্যানেজমেন্ট (নেকম) সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান কাছিমের ডিম সংরক্ষণ ও প্রজননের জন্য কাজ করছে।