“বগুড়া ছাড়াও রাজশাহী, পাবনার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একই সমস্যা দেখছি,” বলছেন পিজিসিএল কর্মকর্তা দেবদীপ বড়ুয়া।
Published : 11 Nov 2022, 11:30 PM
বগুড়া, পাবনা ও রাজশাহীতে সংকুচিত প্রকৃতিক গ্যাস (সিএনজি) সংকটে বিড়ম্বনায় পড়েছেন গাড়ি চালক ও মালিকরা।
সপ্তাহ খানেক ধরে বগুড়ার ঠেঙ্গামারা, চারমাথাসহ সব সিএনজি স্টেশন এবং পাবনা ও রাজশাহীর সিএনজি স্টেশনে গ্যাস সরবরাহ কম হচ্ছে। তাতে বাস, মাইক্রোবাস, অটোরিকশা চালকদের ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
সরবরাহ কম হওয়ায় গ্যাসের চাপও কম উল্লেখ করে ফিলিং স্টেশনের মালিকরা বলেছেন, সে কারণে তারা চাহিদা মতো গ্যাস দিতে পারছেন না।
বগুড়ার ধুনটের অটোরিকশা চালক মাছুদুর রহমান বলেন, “গ্যাসের চাপ কম, গ্যাস নিতে অনেক সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তার পরও যতটুকু গ্যাস প্রয়োজন, তার অর্ধেক পাওয়া যাচ্ছে। অপেক্ষার জন্য যাত্রীরাও বিরক্ত হচ্ছে।”
রাজধানীর বাড্ডা এলাকার এক মাইক্রোবাস চালক বগুড়ায় এসে গ্যাস নিয়ে সংকটের কথা জানালেন। বললেন, “ভাই সিরিয়াল দিয়ে দুই ঘণ্টা বসে আছি। গ্যাসের চাপ কম, তাই গ্যাস তুলতে দেরি হচ্ছে। অপেক্ষার পরও কতটুকু গ্যাস পাব জানি না।”
বগুড়ার বনানী এলাকার এ আর কে ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক রফিকুল ইসলাম বলেন, “ভাই কষ্টে আছি। গাড়ি নিয়ে এসে দেরি হওয়ায় গালাগালিও করছে। এক সপ্তাহ হলো গ্যাসের এমন অবস্থা। পাইপ লাইনে গ্যাস কম, তাই এমন অবস্থা।”
সারাদেশেই চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম জানিয়ে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস কোম্পানি লিমিটেডের (পিজিসিএল) উপ-মহাব্যাবস্থাপক (বগুড়া সেলস) দেবদীপ বড়ুয়া বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “কিছু দেশে উৎপাদিত এবং কিছু বিদেশ থেকে আমদানি করে তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) পাইপ লাইনে সংযোজন করা হয়।
“কিন্তু ইউক্রেইন যুদ্ধে গ্যাসের দামও বেড়েছে। চাহিদা অনুযায়ী কেনা যাচ্ছে না, তাই এমন সংকট। বগুড়া ছাড়াও রাজশাহী, পাবনার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে একই সমস্যা দেখছি।”