মেঘনা নদীতে ট্রলার ডুবি: জড়িত সন্দেহে ৩ মাঝি আটক, নৌযান জব্দ

তদন্তের স্বার্থে আটকদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি মনিরুজ্জামান।

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 March 2024, 05:22 AM
Updated : 24 March 2024, 05:22 AM

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে মেঘনা নদীতে বালুবাহী নৌযানের ধাক্কায় ইঞ্জিনচালিত ট্রলার ডুবির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তিন মাঝিকে আটক করেছে নৌ পুলিশ। 

এছাড়া বালুবাহী নৌযানটিকেও জব্দ করা হয়েছে। 

ভৈরব নৌ পুলিশের ওসি মনিরুজ্জামান জানান, শনিবার দিনভর অভিযান চালিয়ে নরসিংদী রায়পুরা উপজেলার আলভি এলাকার মেঘনা নদী থেকে তাদের আটক করা হয়।

তবে তদন্তের স্বার্থে আটকদের পরিচয় গোপন রাখা হয়েছে। পরে বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান ওসি মনিরুজ্জামান। 

এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে ভৈরব ব্রিজের নিচ থেকে ইঞ্জিনচালিত ট্রলার নিয়ে মেঘনা নদীতে বেড়াতে বের হন কয়েকজন। ইফতারের আগ মুহূর্তে ট্রলারটি চরসোনারামপুর এলাকায় পৌঁছালে একটি বালুবোঝাই নৌযানের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায়।  

এ ঘটনায় কয়েকজন সাতরে তীরে উঠতে সক্ষম হলেও বাকীরা নিখোঁজ ছিলেন। তাদের মধ্যে তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এখনও নিখোঁজ ছয়জন। 

নিহতরা হলেন, ভৈরব হাইওয়ে পুলিশের কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী মৌসুমী (২৫) ও মেয়ে মাহমুদা (৭) ও নূরজাহান বেগম (২০)।  

দুর্ঘটনায় কনস্টেবল সোহেল রানা (৩৫) ও তার ছেলে রাইসুলসহ (৫) ভৈরব পৌর শহরের আমলাপাড়া এলাকার ঝন্টু দে’র স্ত্রী রুপা দে (৩০), তার ভাইয়ের মেয়ে আরাধ্য (১২) ও ভগ্নিপতি বেলন দে (৩৮) এবং নরসিংদীর রায়পুরা এলাকার কলেজ শিক্ষার্থী আনিকা আক্তার (১৮) এখনও নিখোঁজ। 

কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক জানান, শনিবার সকাল থেকে তাদের ডুবুরি দল অভিযান শুরু করে। দুপুর দুইটার দিকে দুজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

তিনি বলেন, “নিখোঁজদের উদ্ধারে কিশোরগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব ফায়ার সার্ভিস, ভৈরব থানা এবং ভৈরব নৌ থানা পুলিশ কাজ করছে। এর মধ্যে দুর্ঘটনায় তলিয়ে যাওয়া ট্রলারটিও শনাক্ত করা গেছে। সেটি উদ্ধার হলে আরও লাশ পাওয়া যেতে পারে।” 

আরও পড়ুন

Also Read: মেঘনায় ট্রলার ডুবি: মৃতদের ২ জন কনস্টেবল সোহেল রানার স্ত্রী-মেয়ে

Also Read: মেঘনায় ট্রলার ডুবিতে নিহত বেড়ে ৩, নিখোঁজ এখনও ৫