রংপুর সিটি নির্বাচন: অভিযোগ দিতে গিয়ে পুলিশের বাধার মুখে

এক সমর্থক জানান, আমরা অভিযোগ জানানোর জন্য নির্বাচন অফিসে যাচ্ছিলাম।

রংপুর প্রতিনিধিবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 29 Dec 2022, 01:50 PM
Updated : 29 Dec 2022, 01:50 PM

রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মাহবুব মোর্শেদ শামীমের সমর্থকরা ডিসির কার্যালয়ে অভিযোগ দিতে যায়। তখন শাপলা চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

গত মেয়াদে ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ছিলেন মাহবুব মোর্শেদ শামীম। এবার তিনি আওয়ামী লীগ নেতা শাহাদৎ হোসেনের কাছে পরাজিত হন।

এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত মেট্টোপলিটন কোতোয়ালি থানার ওসি মাহফুজ রহমান বা অন্য কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।

মাহবুব মোর্শেদ শামীমের সমর্থক আশরাফুল আলম বলেন, আমরা আমাদের অভিযোগ জানানোর জন্য নির্বাচন অফিসে যাচ্ছিলাম। পথে শাপলা চত্বর পৌঁছতেই পুলিশ কোনো কারণ ছাড়াই আমাদের ধাওয়া করে। পালাতে গিয়ে কয়েকজন আহত হয়েছেন।

এদিকে, নির্বাচন পরবর্তী নানা ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠছে নগরীর বিভিন্ন এলাকা।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ২০ নম্বর ওয়ার্ডে মানববন্ধন করেছেন পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী বহুলুল ইসলাম জেপলিনের সমর্থকরা।

মানববন্ধন শেষে রিটানিং কর্মকর্তাকে স্মারক লিপি দেন। স্মারক লিপিতে ভোট জালিয়াতি অভিযোগ এনে ওই ওয়ার্ডে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানান সমর্থকরা।

এদিকে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী এম এ রাজ্জাক মণ্ডলকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তিনি এখন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে জানা গেছে।

এ ঘটনায় সমান সংখ্যক ভোট পাওয়া কাউন্সিলর প্রার্থী শাহাজাদা আরমানকে দোষছেন রাজ্জাক মণ্ডল।

তবে হামলার অভিযোগকে তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার দাবি করে এক সংবাদ সম্মেলনে এর প্রতিবাদ জানান শাহাজাদা আরমান।

এ ছাড়া ভোটের দিন ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজিবির গাড়িতে আগুন লাগানোসহ এখন পর্যন্ত সেখানে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী একরামুল হকের পক্ষে তার সমর্থকরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করেন।

গত মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

এতে মেয়র পদে ৯ প্রার্থী; ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর পদে ১৮৩ জন এবং ১১টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের নারী কাউন্সিলর পদে ৬৮ জন প্রার্থী ছিলেন।

দ্বিতীয়বারের মতো মেয়র পদে বিজয়ী হয়েছেন জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।

লাঙ্গল প্রতীকে মোস্তফা পেয়েছেন ১ লাখ ৪৬ হাজার ৭৯৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. আমিরুজ্জামান প্রার্থী হাতপাখা প্রতীকে পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৮৯২ ভোট।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া রয়েছেন চতুর্থ অবস্থানে। তৃতীয় অবস্থানে আছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. লতিফুর রহমান।

নির্বাচনে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৬৯ ভোটের মধ্যে ২ লাখ ৮০ হাজার ৯৭২ জন ভোট দিয়েছেন। ভোট প্রদানের হার ৬৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ। সে হিসাবে জামানত রক্ষার জন্য প্রয়োজন ৩৫ হাজার ১২২ ভোট।