“কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব।”
Published : 19 Jun 2023, 12:00 AM
ভোটের তিন দিন আগে মাঠ থেকে সরে দাঁড়ানোর ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনীত মেয়র পদপ্রার্থী সাইফুল ইসলাম স্বপন।
রোববার দুপুরে নগরীর লক্ষ্মীপুর এলাকায় গণসংযোগকালে লাঙ্গল প্রতীকের এই প্রার্থী সাংবাদিকদের বলেন, “ভোট করে লাভ হবে না। কেন্দ্রের কাছে অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি পেলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াব।”
সাইফুল ইসলাম স্বপন জাতীয় পার্টির ভাইস চেয়ারম্যান এবং রাজশাহী মহানগরের আহ্বায়ক। এমনিতেই তার প্রচার অন্য প্রার্থীদের চেয়ে কম ছিল। এ ছাড়া দলীয় বিভেদের কারণে সব কর্মীকেও তিনি এই নির্বাচনে পাননি।
সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, “ইভিএমে ভোট করে কোনো ফল পাওয়া যাবে না। ভোটের রেজাল্ট হয়েই আছে। ২১ জুন ভোটে কী ফলাফল হবে, তা এখন বলে দেওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন থেকে গোপনে বসে যাবেন না। সংবাদ সম্মেলন করে এসেছেন, কেন্দ্রের অনুমতি পেলে সংবাদ সম্মেলন করে সরে দাঁড়াবেন।
সাংগঠনিক দুর্বলতার কারণে সুবিধা করতে পারছেন না নাকি অন্য কোনো কারণে সরে যেতে চান জানতে চাইলে সাইফুল ইসলাম স্বপন বলেন, “সাংগঠনিক দুর্বলতা নয়, তারা তো মাঠে আছেন, কাজ করছেন। ইভিএমের কারণে নির্বাচন করতে চাচ্ছি না। খুলনা ও বরিশালে যেমন ভোট হয়েছে এখানেও তাই হবে। ভোট করে কোনো লাভ হবে না।”
জাতীয় পার্টির মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন মিন্টু বলেন, “ইভিএম নিয়ে আগে থেকেই আপত্তি ছিল আমাদের। তাই নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। তবে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত পেলে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হবে।”
সোমবার অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক নিয়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন, লাঙ্গল প্রতীক নিয়ে জাতীয় পার্টির সাইফুল ইসলাম স্বপন, হাতপাখা প্রতীক নিয়ে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মুরশিদ আলম ফারুকী এবং গোলাপ ফুল প্রতীক নিয়ে জাকের পার্টির লতিফ আনোয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
বরিশাল ও খুলনার নির্বাচনের দিন ১২ জুন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড না থাকার অভিযোগ তুলে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অনুসারে রাজশাহী সিটি করপোরেশন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মেয়র পদপ্রার্থী মুরশিদ আলম ফারুকী।
এ সিটিতে ভোটার রয়েছেন ৩ লাখ ৫১ হাজার ৯৮২ জন। ইভিএমের মাধ্যমে ১৫৫টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
মেয়র পদে চারজন, ১০টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ৪৬ জন এবং ৩০টি সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১১২ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানান রিটানিং কর্মকর্তা।