চকরিয়ায় বসতঘরের আগুনে শিশুর মৃত্যু

শিশুটি তার চাচির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল; আগুনের তীব্রতায় চাচি তার শিশু সন্তান নিয়ে বের হলেও ওসমা মনিকে আনা হয়নি।

কক্সবাজারের চকরিয়ায় গভীর রাতে বসতঘরের আগুনে প্রাণ হারিয়েছে এক শিশু।

শনিবার রাতে চকরিয়া পৌরসভার হালকাকারার মৌলভীরচরে এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

নিহত ওসমা মনি (৭) মৌলভীরচরের বাসিন্দা সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী মোহাম্মদ ওসমানের মেয়ে।

স্থানীয়রা জানান, রাত ১টার দিকে মৌলভীরচরের মো. বাহাদুর মিস্ত্রির বসতঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। এই ঘরটিতে বাহাদুর মিস্ত্রি, তার ভাই মোহাম্মদ ওসমান ও মোহাম্মদ মিজান পরিবার নিয়ে পৃথকভাবে থাকেন। আগুন লাগার ১০ মিনিটের মধ্যে সব ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওসমানের সাত বছরের মেয়ে ওসমা মনি পুড়ে যায়।

চকরিয়া পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর রেজাউল করিম জানান, ঘরগুলো বেড়রনির্মিত এবং টিনের ছাউনির হওয়ায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। অগ্নিকাণ্ডের সময় ওসমা মনি তার চাচির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল।

“আগুনের তীব্রতায় চাচি তার শিশু সন্তান নিয়ে বের হয়ে এলেও ওসমা মনিকে আনা হয়নি। আগুনে ওসমা মনির শরীরের ৮০ ভাগ ঝলসে যায়।”

ওসমা মনির মা শাহিনা আকতার বলেন, তার দুই ছেলে ও এক মেয়ে। ১০ বছরের বড় ছেলে ও ২২ মাসের ছোট ছেলে তার সঙ্গে ঘুমিয়েছিল। আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তিনি দুই সন্তান নিয়ে বেরিয়ে পড়েন। সাত বছরের একমাত্র মেয়ে ওসমা মনি তার চাচির সঙ্গে ঘুমিয়েছিল।

খবর পেয়ে রাত সোয়া ১টার দিকে ঘটনাস্থলে যান চকরিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তফিকুল আলম ও চকরিয়া থানার ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী।

ওসি চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর স্থানীয় জনতা ও ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। আগুনে তিন ভাইয়ের বসতঘরে একটি শিশু পুড়ে মারা গেছে। শিশুটি যেহেতু আরেক ঘরে পুড়ে মারা গেছে তাই লাশের ময়নাতদন্ত হবে।

রোববার সকারে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে তিনি জানান।